বেড়েছে চলচ্চিত্রের সংখ্যা, বাড়েনি মান

Cinema_3বছরজুড়ে ঢাকার চলচ্চিত্রাঙ্গন ছিল সরগরম। বছর শুরু হয় অশ্লীলতায় দায়ে অভিযুক্ত ‘দাবাং’ মুক্তির মাধ্যমে। আর শেষ হয় প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নিষেধ অমান্য করে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘দেশা- দ্য লিডার’ মুক্তি দিয়ে। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে ৭৬টি চলচ্চিত্র, যা আগের কয়েক বছরের চেয়ে বেশি। ২০১৩ সালে ৫৩টি, ২০১২ সালে ৫১টি ও ২০১১ সালে ৪৮টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ২০০৮ সালের পর চলচ্চিত্র মুক্তির হার কমে গেলেও এ বছর বেড়েছে। তবে মান ও ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের সংখ্যা বাড়েনি। ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে অগ্নি, কিস্তিমাত, হিরো দ্য সুপারস্টার, অনেক সাধের ময়না ও মোস্টওয়েলকাম ২।
এবার জেনে নিই চলচ্চিত্রাঙ্গনের উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়—
বেড়েছে মুক্তির হার : চলচ্চিত্র মুক্তির হার বাড়লেও মান নিয়ে ছিল অসন্তুষ্ঠি। তার প্রভাব দেখা গেছে বক্স অফিসে। গুটি কয়েক চলচ্চিত্র ছাড়া বেশিরভাগই ছিল ব্যর্থ। এ প্রসঙ্গে পরিচালক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এসএ হক অলীক বলেন, ‘আশার কথা হলো বিগত তিন বছরের তুলনায় এ বছর চলচ্চিত্র মুক্তির হার বেড়েছে। আর কোয়ান্টিটি বাড়লে তো তার মধ্যে মানসম্মত কিংবা কম মানসম্মত দুই ধরনের চলচ্চিত্রই থাকবে। এখন আমাদের প্রত্যেক নির্মাতারই চলচ্চিত্রের গল্প ও উপস্থাপনের দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাহলে ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রের মান বাড়বে।’
ডিজিটাল নিয়ে দুর্ভাবনা : কয়েক বছর ধরে সব চলচ্চিত্রই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু ডিজিটালি পোস্ট প্রোডাকশনের প্রযুক্তি ও জ্ঞানের অভাব রয়েছে। এমনকি দেশের হলগুলোতে পরিপূর্ণ ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেই। তাই পোস্টারে ডিজিটাল চলচ্চিত্র লেখা দেখলে অনেক দর্শক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। এ প্রসঙ্গে অলীক বলেন, ‘মিনিমাম টুকে রেজুলেশনের চলচ্চিত্র হওয়া উচিত। কিন্ত সিনেমা হলগুলোতে এই রেজুলেশনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রজেক্টর নেই। সরকারের এই দিকটাতে নজর দেওয়া উচিত। আমার জানা মতে সেন্সর বোর্ডেও এই রেজুলেশনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
অনুদানের চলচ্চিত্র : এ বছর সরকারি অনুদানের বেশ কিছু চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। এ চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ছিল- মাসুদ পথিক পরিচালিত ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’, মির্জা সাখায়াত হোসেন পরিচালিত ‘হরিজন’, জাহিদুর রহিম অঞ্জনের ‘মেঘমল্লার’ ও মান্নান হীরার ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’। এর মধ্যে ‘মেঘমল্লার’ ছাড়া কোনটি তেমন একটা আলোচনায় আসেনি।
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র : মুক্তিযুদ্ধের বেশকিছু চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে এ বছর। এগুলোর মধ্যে আছে- মুনসুর আলীর ‘৭১ এর সংগ্রাম’, শাহ আলম কিরণের ‘একাত্তরের মা জননী’, সাদেক সিদ্দিকীর ‘হৃদয়ে ৭১’, মান্নান হীরার ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ পরিচালক মান্নান হীরা ও জাহিদুর রহিম অঞ্জন পরিচালিত ‘মেঘমল্লার’।

মুক্তিযুদ্ধের ৫টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেলেও ব্যবসার দিক থেকে কোনটি সফলতার মুখ দেখেনি।
ঢাকা-কলকাতা যৌথ প্রযোজনা : যৌথ প্রযোজনার মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে ছিল, দেওয়ান নাজমুলের ‘সীমা রেখা’ ও অশোক পাতির ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’।

এ চলচ্চিত্রগুলো জন্ম দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। ‘সীমা রেখা’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ববিতা গণমাধ্যমে বলেন ‘আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় আমাকে বলা হয়নি, এটি দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার ছবি। ভাবতে পারিনি, আমার সঙ্গে এতবড় অন্যায় করা হতে পারে!’ অন্যদিকে অনন্য মামুন দাবি করে ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ চলচ্চিত্রটি তিনি পরিচালনা করেছেন। কিন্তু চলচ্চিত্রে দেখা যায় অশোক পাতির নাম। যৌথ প্রযোজনার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র মুক্তি : ‘যুদ্ধশিশু’ ও ‘রোর’ নামে দুটি ভারতীয় চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এ বছর। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্র সেন্সর ছাড়পত্র পায়। অন্যদিকে ভারতের দুটি হলে বাংলাদেশের দুটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।
সালমান শাহ ঝড় : মৃত্যুর ১৮ বছর পরই সালমান শাহের জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে। তেমনটাই দেখা গেছে ভক্তদের কর্মকাণ্ডে। সোস্যাল মিডিয়াতে তারা সারাবছর সালমানকে নানাভাবে স্মরণ করেছেন। তার মৃত্যুদিবস উপলক্ষে ৬-১১ সেপ্টেম্বর বলাকা সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয় সালমান শাহ স্মরণ উৎসব। সালমান শাহ হত্যার বিচারের দাবিতে মাঠে নামেন তার মা নীলা চৌধুরী। এর অংশ হিসেবে সালমান ভক্তদের নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্মরণসভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সাক্ষাৎকারদেন এফএম রেডিওতে।
বছর শেষে জাজ ও পরিবেশক সমিতির দ্বন্দ্ব : বছর শেষে আলোচিত ঘটনা হলো প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং প্রযোজক পরিবেশক সমিতির দ্বন্দ্ব। জাজের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে কয়েক দফা সভা করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির উপদেষ্টা কমিটি। সভার এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘যেহেতু মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে প্রযোজনা ও পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, সেহেতু আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে জাজ মাল্টিমিডিয়ার মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাজকে নামে-বেনামে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিবেশনা—যে কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।’ এত কিছুর পরেও ২৬ ডিসেম্বর দেশের ৭০টি হলে মুক্তি পায় জাজের চলচ্চিত্র ‘দেশা দ্য লিডার’।
নতুন পরিচালক : এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্য নতুন পরিচালক এসেছেন। এদের মধ্যে আছেন- মাহমুদ হোসেন মুরাদ (মনের মধ্যে লেখা), জাদু আজাদ (প্রেম কি অপরাধ), ফেরদৌস ওয়াহিদ (কুসুমপুরের গল্প), দেওয়ান নাজমুল (সীমারেখা), মাসুম আজিজ (অনন্তকালের), মনসুর আলী (৭১-এর সংগ্রাম), গোলাম মোস্তফা শিমুল (অনুক্রোশ), গীতালী হাসান (প্রিয়া তুমি সুখী হও), মেঘমল্লার মির্জা সাখাওয়াত হোসেন (হরিজন), আকিব পারভেজ ও মাশরুর পারভেজ (অদৃশ্য শত্রু), সানিয়াত (অল্প অল্প প্রেমের গল্প), আশিকুর রহমান (কিস্তিমাত), সাইমন জাহান (টাইম মেশিন), আহসান উল্লাহ মনি (ভালবাসার তাজমহল), আহসান সারোয়ার (আমরা করবো জয়), মনিরুল ইসলাম সোহেল (স্বপ্ন যে তুই), নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল (এক কাপ চা), শফিক হাসান (স্বপ্ন ছোঁয়া), জাহিদুর রহিম অঞ্জন (মেঘমল্লার), সৈকত নাসের (দেশা- দ্য লিডার) ও আবুল কাশেম মণ্ডল (ক্ষণিকের ভালবাসা)।
নতুন নায়ক-নায়িকা : এসেছেন একঝাঁক নতুন নায়ক-নায়িকা। তাদের মধ্যে আছেন- জীবন ও পিনা (দাগ এই বুকের ভেতর), সাগর (মনের মধ্যে লেখা), শাহরিয়াজ (কি দারুণ দেখতে), মোস্তফা প্রকাশ ও ফারিয়া (আকাশ কত দূরে), রথি ও ফাহিম (সীমারেখা), শিরিন শিলা (হিটম্যান), ঐশ্বর্য বিরজান ও সুচিত্রা (অনন্তকালের), আদি (আই ডোন্ট কেয়ার), রুহি (৭১ এর সংগ্রাম), ইমরোজ (দবির সাহেবের সংসার), মীম চৌধুরী (ভালবাসা এক্সপ্রেস), শাবিলা সাবি (প্রিয়া তুমি সুখী হও), বিথি (হেডমাস্টার), ইউল রাইয়ান ও প্রিয়া আমান (অদৃশ্য শত্রু), তানিয়া ও পুষ্পিতা (কখনো ভুলে যেও না), আরিয়ান শাহ (আগে যদি জানতাম তুই হবি পর), মিষ্টি জান্নাত (লাভ স্টেশন), প্রসূন আজাদ (সর্বনাশা ইয়াবা), পলাশ ও কথা (কুসুমপুরের গল্প), সৌরভ সিডাক (টাইম মেশিন), মিঠু, মৌ ও লিখন (পিঁপড়াবিদ্যা), সিমি (মাই নেম ইজ মিমি), শান্ত (অনেক সাধনার পরে), আফ্রি ও আদনান (স্বপ্ন যে তুই), হৃদি ও ইমরান (অল্প অল্প প্রেমের গল্প), সুমিত (সেদিন বৃষ্টি ছিল), ইতিশা (জিরো থেকে টপ হিরো) এবং শিপন (দেশা- দ্য লিডার)।
পরিচালক সমিতির নতুন কমিটি : ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও সহ-সভাপতি হয়েছেন একই প্যানেলের সোহানুর রহমান সোহান। মহাসচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার। আরও নির্বাচিত হয়েছেন- যুগ্ম-মহাসচিব পদে এসএ হক অলীক, অর্থ সম্পাদক পদে আহমেদ ইলিয়াস ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বজলুর রাশেদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, প্রচার-প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক পদে আহাম্মেদ আলী মণ্ডল।
এ ছাড়া ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে বছর শেষে আলোচনার ঝড় তোলেন নায়িকা হ্যাপি। মারা যান অভিনেতা খলিলুল্লাহ খান, পরিচালক মহম্মদ হান্নান, এনায়েত করিম ও বেলাল আহমেদ।
এবার জেনে নিই মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সম্পূর্ণ তালিকা-
জানুয়ারি
জানুয়ারি মাসে মুক্তি পেয়েছে মোট ৪টি চলচ্চিত্র। আজাদ খান পরিচালিত ‘দাবাং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন লিটন, জায়েদ খান, বিন্দিয়া, রাবিনা, অমিত হাসান প্রমুখ। ‘দাগ এই বুকের ভেতর’ পরিচালক বজলুর রাশেদ চৌধুরী, অভিনয় করেছেন জীবন, পিনা, কাজী হায়াত প্রমুখ। ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘কি দারুণ দেখতে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বাপ্পি, মাহী, মিশা, কাবিলা প্রমুখ। ‘মনের মধ্যে লেখা’ পরিচালক মাহবুব হোসেন মুরাদ। অভিনয়ে ছিলেন মিশা, সাগর, শম্পা, অমিত হাসান প্রমুখ।
ফেব্রুয়ারি
ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছে মোট ৭টি চলচ্চিত্র। ‘তোমার কাছে ঋণী’ পরিচালনা করেছেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন ও অভিনয় করেছেন সায়মন, তমা মির্জা, ববিতা প্রমুখ। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আমিন খান, রিয়াজ ও পূর্ণিমা। ‘অগ্নি’ পরিচালনায় ইফতেখার চৌধুরী, অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, মিশা প্রমুখ। ‘লাট্টু কসাই’ পরিচালনায় পিএ কাজল, অভিনয় করেছেন শাকিব, মুনমুন, ডিপজল, ফেরদৌস, শানু, সাদেক বাচ্চু প্রমুখ। ‘কুসুমপুরের গল্প’ পরিচালনায় ফেরদৌস ওয়াহিদ, অভিনয় করেছেন পলাশ, মৌমিতা, বাদল প্রমুখ। ‘সীমা রেখা’ পরিচালনায় দেওয়ান নাজমুল, অভিনয় করেছেন ফাহিম, ফারিয়া, রাখি, ববিতা, রজত দত্ত। ‘খাঁচার পাখি’ পরিচালনায় আনোয়ার সিরাজী, এতে অভিনয় করেছেন কারিশমা, সাহের খান, মিজু আহমেদ কাজী হায়াত প্রমুখ।
মার্চ
মার্চে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ৬টি। ‘রাজত্ব’ পরিচালনায় ইফতেখার চৌধুরী, অভিনয় করেছেন শাকিব খান, ববি, প্রবীর মিত্র, রেবেকা প্রমুখ। ‘অনন্তকালের (forever)’ পরিচালনায় সায়মন তারিক ও মাসুম আজিজ, অভিনয়ে ঐশ্বর্য বীরজান, জয়া, ফরিয়া, নাতিশা, কুমরি সাহা প্রমুখ। ‘তোকে ভাল বাসতেই হবে’ পরিচালক রাজু চৌধুরী। অভিনয় করেছেন জায়েদ খান, সাহারা প্রমুখ। ‘১নং আসামি’ পরিচালক রাজু চৌধুরী। অভিনয় করেছেন রুবেল, প্রিন্স, পলি, নন্দিতা, মিশা প্রমুখ। ‘বৈষম্য’ পরিচালক এ্যাডাম দৌলা। অভিনয় করেছেন আবির হোসেন, অংকন, মিতা চৌধুরী, সাদেক বাচ্চু প্রমুখ। ‘৭১ এর সংগ্রাম’ পরিচালক মুনসুর আলী। অভিনয় করেছেন অনুপম খের, আমান রেজা প্রমুখ।
এপ্রিল
এপ্রিল মাসে মুক্তি পেয়েছে ৫টি চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রগুলো হলো- ‘দবির সাহেবের সংসার’ পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। এতে অভিনয় করেছেন মাহি, বাপ্পি, আলি রাজ, রোজ প্রমুখ। ‘ডেয়ারিং লাভার, পরিচালক বদিউল আলম খোকন। অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, মিশা প্রমুখ। ‘জোনাকীর আলো’ পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু। অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মীম, ইমন প্রমুখ। ‘অন্ধ নিরাঙ্গম’ পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল। অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ‘মায়ের মমতা’ পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। অভিনয় করেছেন ইমন, নিপুন, সুচরিতা, রেবেকা প্রমুখ।
মে
মে মাসে মুক্তি পেয়েছে ৭টি চলচ্চিত্র। ‘জান’ পরিচালনায় জি সরকার, অভিনয়ে ইমন, বিন্দিয়া, আমান, নাসরিন, কাবিলা প্রমুখ। ‘ভালবাসা এক্সপ্রেস’ পরিচালনায় সাফি ইকবাল সাফি, অভিনয়ে শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, মিশা, আহমেদ শরীফ প্রমুখ। ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ পরিচালনায় অশোক পাতি ও অনন্য মামুন, অভিনয়ে অংকুশ, শুভশ্রী, মিশা, ডন প্রমুখ। ‘কাছের শত্রু’ পরিচালনায় এমএ আউয়াল, অভিনয়ে আমিন খান, নিপুন, সম্রাট প্রমুখ। ‘ফাঁদ’ পরিচালনায় সাফি উদ্দিন সাফি, অভিনয় করেছেন শাকিব খান, আঁচল, অমিত হাসান প্রমুখ। ‘চোরের রানী’ পরিচালনায় স্বপন চৌধুরী, অভিনয় করেছেন অমিত হাসান, পলি, মিজু আহমেদ, হারুন কিসিঞ্জার প্রমুখ। ‘দুষ্টু মনের পাগলামী’ পরিচালনায় জুলহাস চৌধুরী পলাশ ও অভিনয় করেছেন নূপুর রোমিও, আশিক, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ।
জুন
জুন মাসে মুক্তি পেয়েছে ৫টি চলচ্চিত্র। ‘শবনম’ পরিচালনায় শিবলি সাদিক ও অভিনয়ে মাহফুজ, মৌমিতা, নাসির খান প্রমুখ। ‘তারকাঁটা’ পরিচালনায় মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনয়ে আরিফিন শুভ, বিদ্যা সিনহা মীম, মৌসুমী প্রমুখ। ‘খেলা’ পরিচালনায় দিদার খান ও অভিনয়ে রুবেল, রিয়া, বিজয়, সোহেল প্রমুখ। ‘ভাঙ্গা মন’ পরিচালনায় এমএ খান মুকুল, অভিনয় করেছেন সোয়েব, সিনথিয়া, রফিক রাজ, সাদেক বাচ্চু, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ। ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ পরিচালনা করেছেন মাসুদ পথিক। অভিনয় করেছেন সিমলা, জুয়েল, প্রবীর মিত্র, মামুনুর রশীদ, বাদল প্রমুখ।
জুলাই
ঈদুল ফিতরকে উপলক্ষ করে জুলাই মাসে মুক্তি পেয়েছে ৭টি চলচ্চিত্র। ‘মুক্তি’ পরিচালনায় পিএ কাজল, অভিনয়ে সোহেল রানা, দিতি, সোহেল খান প্রমুখ। ‘হেড মাস্টার’ পরিচালনায় দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, অভিনয়ে আলমগীর, সুবর্ণা মুস্তাফা প্রমুখ। ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ পরিচালনায় গিতালী হাসান, অভিনয়ে ফেরদৌস, শায়লা সাবি, সোহেল রানা, সুচরিতা প্রমুখ। ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ পরিচালনায় মোহাম্মদ হোসেন, অভিনয়ে বাপ্পি, ববি, মিশা প্রমুখ। ‘হিরো দ্য সুপার স্টার’ পরিচালনায় বদিউল আলম খোকন, অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, ববি, মিশা প্রমুখ। ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ পরিচালনায় অনন্ত জলিল ও অভিনয়ে অনন্ত, বর্ষা, মিশা, নিনো প্রমুখ। ‘হানিমুন’ পরিচালনায় সাফি উদ্দিন সাফি ও অভিনয়ে বাপ্পি, মাহি, হাসান ইমাম, আহমেদ শরীফ প্রমুখ।
আগস্ট
আগস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছে ৬টি চলচ্চিত্র। ‘ভালবাসার তাজমহল’ পরিচালনায় আহসান উল্লাহ মনি ও অভিনয়ে আকাশ, হেনা প্রমুখ। ‘মার্ডার ২’ পরিচালনায় এমএ রহিম ও অভিনয়ে শাহ রিয়াজ, বিন্দিয়া প্রমুখ। ‘কখনো ভুলে যেওনা’ পরিচালনায় মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও অভিনয়ে ইমন, তানি, পুষ্পিতা, আহমেদ শরীফ প্রমুখ। ‘অদৃশ্য শত্রু’ পরিচালনায় আকিব পারভেজ ও মাশরুর পারভেজ, অভিনয় করেছেন সোহেল রানা, সুচরিতা, ডন, জায়েদ খান, ইউল রায়হান প্রমুখ। ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ পরিচালনায় সানিয়াত হোসেন ও অভিনয়ে মিশা সওদাগর, শখ, নিলয় প্রমুখ। ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’ পরিচালনায় মনতাজুর রহমান আকবর ও অভিনয়ে আরিয়ান, অভি, পুষ্পিতা, মিজু আহমেদ, প্রবীর মিত্র প্রমুখ।
সেপ্টেম্বর
সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছে ৭টি চলচ্চিত্র। ‘লাভ স্টেশন’ পরিচালনায় শাহাদাৎ হোসেন লিটন, অভিনয় করেছেন বাপ্পি, মিষ্টি, আলেক, শাহানূর, কাজী হায়াৎ প্রমুখ। ‘তুই শুধু আমার’ পরিচালনায় রাজু চৌধুরী, অভিনয় করেছেন সায়মন, মৌমিতা আলেক, সিনথিয়া, বিপাশা প্রমুখ। ‘ভালবাসলে দোষ কি তাতে’ পরিচালনায় খোকন রিজভী, অভিনয় করেছেন জয় চৌধুরী, পিন্টু রাজ, নীড়, সোনিয়া, আবীর খান প্রমুখ। ‘ক্ষোভ’ পরিচালনায় শাহাদাৎ হোসেন লিটন, অভিনয় করেছেন আমিন খান, নদী, মেহেদী, শাপলা মিশা প্রমুখ। ‘সে দিন বৃষ্টি ছিল’ পরিচালনায় শাহীন সুমন, অভিনয় করেছেন রত্না, অভি, সুমিত, ডন, সুব্রত, আসিফ প্রমুখ। ‘বৃহন্নলা’ পরিচালনায় মুরাদ পারভেজ ও অভিনয়ে ফেরদৌস, সোহানা সাবা, দিলারা জামান প্রমুখ। ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ পরিচালনায় কাজী হায়াৎ ও অভিনয়ে কাজী মারুফ, প্রসূন আজাদ, তমা মির্জা, কাজী হায়াৎ প্রমুখ।
অক্টোবর
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অক্টোবর মাসে মুক্তি পেয়েছে ৫টি চলচ্চিত্র। ‘আমরা করবো জয়’ পরিচালনায় আহসান সারোয়ার ও অভিনয়ে আহসান সাদাফ, আহসান সাজিদ, কনিকা আক্তার প্রমুখ। ‘কিস্তিমাত’ পরিচালনায় আশিকুর রহমান ও অভিনয়ে আরিফিন শুভ, আঁচল, মিশা, রেবেকা প্রমুখ। ‘সেরা নায়ক’ পরিচালনায় ওয়াকিল আহমেদ। অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, সুচরিতা, মিশা প্রমুখ। ‘কঠিন প্রতিশোধ’ পরিচালনায় নজরুল ইসলাম খান ও অভিনয়ে শাকিব, অপু, উজ্জ্বল, মিশা। ‘হিটম্যান’ পরিচালনায় ওয়াজেদ আলী সুমন ও অভিনয়ে শাকিব, অপু, মিশা, বিপাশা প্রমুখ। ঈদুল আজহার পরে মুক্তি পায় ৩টি চলচ্চিত্র। ‘পিঁপড়া বিদ্যা’ পরিচালনায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও অভিনয়ে শিনা চৌহান, নূর ইমরান মিঠু, মুকিত জাকারিয়া প্রমুখ। ‘অনেক সাধের ময়না’ পরিচালনায় জাকির হোসেন রাজু ও অভিনয়ে বাপ্পি, মাহি, মিলন, আলীরাজ, রেবেকা প্রমুখ। ‘জানে না এ মন’ পরিচালনায় এমএ রহিম ও অভিনয় করেছেন ইমন, জানভি, আলেকজান্ডার বো প্রমুখ।
নভেম্বর
নভেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছে ৫টি চলচ্চিত্র। ‘মাই নেম ইজ সিমি’ পরিচালনায় মনতাজুর রহমান আকবর ও অভিনয় করেছেন সামায়ারা, জায়েদ খান, সোহানা খান, রেশমা প্রমুখ। ‘হরিজন’ পরিচালনায় মির্জা সাখায়াত হোসেন ও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ‘অনেক সাধনার পরে’ পরিচালনায় আবুল কালাম আজাদ ও অভিনয়ে প্রবীর মিত্র, শান্ত, শুভ, নিঝুম, অঞ্জলী প্রমুখ। ‘স্বপ্ন যে তুই’ পরিচালনায় মনিরুল ইসলাম সোহেল ও অভিনয়ে আঁচল, ইমন, আদনান, কাজী হায়াৎ, সাদেক বাচ্চু প্রমুখ। ‘চার অক্ষরের ভালবাসা’ পরিচালনায় জাকির খান ও অভিনয়ে পপি, নীরব, রাবিনা বৃষ্টি, সুচরিতা প্রমুখ।
ডিসেম্বর
ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছে ১০টি চলচ্চিত্র। ‘এক কাপ চা’ পরিচালনায় নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল ও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, মৌসুমী, ঋতুপর্ণা প্রমুখ। ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’ পরিচালনায় রাকিবুল আলম রাকিব, অভিনয়ে জায়েদ খান, মম, আনিসুর রহমান মিলন প্রমুখ। ‘স্বপ্ন ছোঁয়া’ পরিচালনায় শফিক হাসান ও অভিনয়ে সায়মন, ববি, মিশা, তানভীর, রেবেকা প্রমুখ। ‘মেঘমল্লার’ পরিচালনায় জাহিদুর রহিম অঞ্জন ও অভিনয়ে শহীদুজ্জামান সেলিম, অপর্ণা, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ‘হৃদয়ে ৭১’ পরিচালনায় সাদেক সিদ্দিকী, অভিনয় করেছেন ইমন, রুমানা, আন্না, রাখী, শহীদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ। ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ পরিচালনায় মান্নান হীরা ও অভিনয়ে মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, ড. ইনামুল হক, মোমেনা চৌধুরী প্রমুখ। শাহিন-সুমন পরিচালিত ‘জিরো থেকে টপ হিরো’তে অভিনয় করেছেন জেফ, ঈতিশা, সুমিত ও বিপাশা। ‘দেশা- দ্য লিডার’ পরিচালনায় সৈকত নাসির ও অভিনয় করেছেন শিপন, মাহি, তারিক আনাম খান, একে আজাদ সেতু, শিমুল খান প্রমুখ। ‘একাত্তরের মা জননী’ পরিচালনায় শাহ আলম কিরণ, অভিনয় করেছেন নিপুণ, আগুন, মিশু চৌধুরী, চিত্রলেখা গুহ, ম ম মোর্শেদ প্রমুখ। ‘ক্ষণিকের ভালবাসা’ পরিচালক কাশেম মণ্ডল। অভিনয় করেছেন জয় চৌধুরী, শিরিন শিলা প্রমুখ।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend