সংবর্ধিত ক্রিকেটাররা, পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা

PM_01-(Home)দুর্দান্ত পারফর্মের প্রতিদান পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সূর্য-সন্তানরা। বিশ্বকাপ আর পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে পুরস্কৃত হচ্ছেন তারা; পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা, আবাসনসহ গাড়িও। সঙ্গে তাদের কল্যাণে তহবিলও গঠন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের ৪টির মধ্যে দু’টি ম্যাচেই তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণেই ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই তাকে ‘ক্রিকেটবান্ধব’ স্বীকৃতি দিয়েছেন। কখনো তামিম-মুশফিক-সৌম্য-সাব্বিদের চার-ছক্কায়; আবার কখনো মাশরাফি-তাসকিন-রুবেল-সাকিব-সানিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন। কখনো অনুপ্রাণিত করতে হাততালি দিয়েছেন। কখনো বিজয়ের মিছিলে যোগ দিয়েছেন জাতীয় গৌরবের লাল-সবুজের পতাকা হাতে। এক কথায় তাকে ক্রিকেটের মহাভক্ত বললেও বেশী হবে না। ক্রিকেট মাঠে তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। অথচ তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় বিজয় উদযাপনের শুভক্ষণেই তিনি ক্রিকেটারদের সংবর্ধিত করেছেন। আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫ আসরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চোখ ধাঁধানো সাফল্যের পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে ২ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট দলের সোনার ছেলেদের জন্য জাতি গৌরব বোধ করছে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আমি আমার পক্ষ থেকে আইসিসি বিশ্বকাপে চমৎকার খেলার জন্য ১ কোটি টাকা এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাওয়াশ ও একটি টোয়েন্টি২০ ম্যাচে জয়ের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করছি।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘বাংলাদেশ দল উইনিং মানি হিসেবে পাবে ১ কোটি টাকা, আইসিসি থেকে পাবে ৩ কোটি টাকা, বিসিবি থেকে পাবে ১.৩০ কোটি টাকা এবং সাম্প্রতিক সাফল্যের জন্য বেক্সিমকো থেকে পাবে ১ কোটি টাকা।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দল ওডিআই এবং টোয়েন্টি২০ সিরিজের মতো টেস্ট সিরিজেও পাকিস্তান দলকে পরাজিত করবে। আমরা একদিন বিশ্বকাপ জয় করব ইনশাল্লাহ।’
শেখ হাসিনা জাতীয় দলের সকল সদস্যের আবাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি উপযুক্ত ভূমি খুঁজতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি। সেই জমির উপর আমরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এর আগে কয়েকজন খেলোয়াড়ের জন্য গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি যে সব খেলোয়াড় গাড়ি এখনো পায়নি, তারাও একই সুবিধা পাবে। খেলোয়াড়দের কল্যাণে একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হবে যাতে তারা তাদের দুঃসময়ে বিশেষ করে খেলা থেকে অবসরের পরে এই তহবিল থেকে তাদের প্রয়োজন মিটাতে পারে। আমরা ট্রাস্টের জন্য বেশ ভাল অর্থ বরাদ্দ দেব যাতে সকল ধরনের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা দুঃসময়ে এই তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিতে পারে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি, নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপিসহ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার, কোচসহ বিভিন্ন স্টাফরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষ দিকে ফুলের তোড়া দিয়ে ক্রিকেটারদের সংবর্ধিত করার পাশাপাশি তাদের নিয়ে কেকও কেটেছেন প্রধানমন্ত্রী।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend