বিশ্বকাপে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে ব্রাজিলীয় কিশোরীরা

Picture-120140618121501 (1)বিশ্বকাপের আলোয় ভাসছে ব্রাজিল। ভিনদেশীতে ঠাসা ব্রাজিলের অলিগলি। এই সুযোগটিতে জমে উঠেছে সেক্স ট্যুরিজমের মত ব্যবসাও।

বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে নাবালিকারাও নেমে গেছে বেআইনি কাণ্ডে। ওদের ঠেকানো যাচ্ছে না বলে চিন্তিত সে দেশের সরকারও। এসব নাবালিকারা মাত্র এক প্যাকেট সিগারেটের দামেই অপরিচিত আগন্তুকদের কাছে সপে দিচ্ছে নিজেদের।

ব্রাজিল ফ্রি সেক্সের দেশ এমনিতেই। যৌন ব্যবসা সে দেশে আইনিভাবে স্বীকৃত। তারপরও ব্রাজিল সরকারের দুর্ভাবনার কারণ, ওরা নাবালিকা। টাকা রোজগারে রাস্তায় নেমে পড়া নাবালিকাদের বয়স ১৮ বছরেরও কম।

ব্রাজিলের একজন আইনজীবীর মতে, ‘এই নাবালিকারা চরম দারিদ্র দেখেছে। নিজের মা’কে অর্থাভাবে যৌন ব্যবসায় নামতে দেখেছে। তাই যে মেয়ে মাত্র ১০ বছরের গন্ডীও পেরোয়নি সেও বিশ্বকাপের সুযোগে সহজে অর্থ উপার্জন হিসেবে এই ব্যবসায় নেমে পড়েছে।’

সে দেশেরই সংবাদপত্রে এসেছে, কিছু নাবালিকা টাকাও চাইছেন না। এক প্যাকেট সিগারেট বা একটু হেরোইনের বিনিময়েই প্রস্তুত শয্যায় যেতে।

এসব নাবালিকাদের বক্তব্য, একটু নেশা করলে খিদের ভাবনা আসে না। তাই নেশা করি। আর নেশা করতে টাকা লাগে। কে দেবে টাকা?

এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সাউথ আফ্রিকা, জার্মানির বিশ্বকাপের থেকে ব্রাজিল বিশ্বকাপে নাবালিকাদের এই পেশায় নামার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

জানা যায়, ২৫ লক্ষ নাবালিকা এই মুহূর্তে ব্রাজিলের কোনও না কোনও শহরে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করছে। তাদের মধ্যে কেউ অল্প সময়ে পয়সা রোজগার, কেউ আবার পরিবারের চাপে পড়ে এই ব্যবসায় নেমেছে।

সে দেশের সংবাদপত্র জানাচ্ছে, মাত্র পাঁচ থেকে ১০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এক শ্রেণির দালালরা এই কিশোরীদের তাদের পরিবার কাছ সারাজীবনের মত কিনে নেন। তারপর সেই কিশোরীকে ব্যবসায় নামিয়ে রোজগার করতে থাকেন।

ব্রাজিলের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কর্মরত এক সিস্টারের মতে, শিশুরা সঠিক পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পেল কি না তা নিয়ে এ দেশের পুলিশ মোটেও চিন্তিত নয়। বরং পুলিশ এই ব্যবসা থেকে টাকা নেয়। আর পর্যটক ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এই ব্যবসা লুকোতে চায়।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend