‘জঘন্য’ বলে এই সিনেমার চিত্রনাট্য ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন নায়িকা!

একবার একটি সাক্ষাৎকারে করণ জোহর বলেছিলেন, তিনি সারা জীবনে শুধুমাত্র একটি মেয়ের প্রেমেই পড়েছেন। তিনি তার শৈশবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু টুইঙ্কেল খান্না। আর তার কথা মাথায় রেখেই করণ তার প্রথম পরিচালিত ছবি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ এর একটি চরিত্র লিখেছিলেন। রানি মুখার্জি অভিনীত টিনা চরিত্রটির প্রস্তাব প্রথমে টুইঙ্কেলের কাছে গিয়েছিলো, সেটা সবার জানা। কিন্তু সেই প্রস্তাব পেয়ে কী করেছিলেন টুইঙ্কেল, সেটি কি জানেন পাঠক?

সম্প্রতি টুইঙ্কেলের স্বামী অক্ষয় কুমার জানালেন এই গোপন তথ্য। অক্ষয় করণের আসন্ন সিনেমা ‘কেসারি’তে অভিনয় করছেন। সিনেমাটি নিয়ে মিড-ডে’কে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় অক্ষয় জানালেন, করণের কাছ থেকে স্ক্রিপ্ট পেয়ে সেটি নাকি ছুঁড়ে ফেলেছিলেন রাজেশ খান্নার কন্যা। স্ক্রিপ্ট পড়ার পর নাকি টুইঙ্কেলের ভাষ্য ছিল, তিনি কাহিনির কিছুই বুঝতে পারেননি। এরপর নাকি টুইঙ্কেল স্ক্রিপ্ট ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেন, এতো বাজে কাহিনি তিনি নাকি আর পড়েননি!

টুইঙ্কেল খান্নার কাছে জঘন্য মনে হয়েছিলো ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমার কাহিনি। ছবি: সংগৃহীত।

অথচ এর ঠিক দুই বছর পর ২০০০ সালে ‘মেলা’ নামের একটি সিনেমায় টুইঙ্কেল অভিনয় করেন আমির খানের বিপরীতে। এই ছবিটি বলিউডের সবচেয়ে বাজে সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে আজও বিবেচিত। তাহলে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ কীভাবে জঘন্য কাহিনির হলো, তা টুইঙ্কেল ছাড়া মনে হয় আর কেউ জানেন না!

এদিকে কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কেল আফসোস করেছিলেন সিনেমাটির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। তিনি বুঝতে পারেননি শাহরুখ ও কাজলের এই সিনেমাটি এতো সাফল্য পাবে। তবে নিজেকে বাঁচাতে তিনি জানান, রানি মুখার্জির ক্যারিয়ার টুইঙ্কেলের কারণেই সফল হয়েছিলো। তিনি যদি ছবিটি ছেড়ে না দিতেন, তাহলে সেটি রানি পেতেন না। উল্লেখ্য, এই ছবিটিতে অভিনয় করে রানি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন। তবে একথা বলা বাহুল্য, ছবিটি যদি রানির বদলে টুইঙ্কেলই করতেন, তাহলে হয়ত বালিউড সিনেমায় আরেকটি বাজে ছবির নাম যুক্ত হতো।

সূত্র: ডেকান ক্রনিকল

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend