যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে বিপাকে পুলিশ

jnu+news_1বর্ষবরণের উত্সবে নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনার পরের দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়। তবে ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা আর ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পহেলা বৈশাখের উত্সবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ভিড়ের মধ্যে নারী-পুরুষের ধস্তাধস্তি চলছে। ওই ভিড় থেকে তিনজন মহিলাকে বের করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা যেসব লোমহর্ষক কথা বলছেন সেটার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না ফুটেজে। এছাড়া রোকেয়া হলে বস্ত্রহীন মেয়ে দৌড়ে প্রবেশ করেছে বলা হলেও এই ঘটনারও সত্যতা পায়নি পুলিশ।

উদ্ধারকারীদের সঙ্গে উত্ত্যক্তকারীদের ধস্তাধস্তির দৃশ্যও স্পষ্ট নয়। তদন্ত করতে গিয়ে এসব নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। আন্দোলনও দানা বাঁধতে শুরু করছে। ঘটনার পর প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠনের সভা, সেমিনার এবং মানববন্ধন হচ্ছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে থানা পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক টিম তদন্তে নেমেছে। যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, পহেলা বৈশাখের মতো একটি উত্সবে নারী নির্যাতনের মতো এমন একটি ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। অপরাধী যেই হোক না কেন- ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ভিকটিমদের খুঁজে পেলে তারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারতেন। তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। এছাড়া কারো কাছে কোন ভিডিও ফুটেজ বা তথ্য থাকলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। পুলিশ ৬ উত্ত্যক্তকারীকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেও সেটিরও সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এদিকে টিএসসির ওই ঘটনা তদন্তে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহিম ফাতমীকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ওই দিন পুলিশের অবহেলা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে।

সৌজন্যে: ইত্তেফাক

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend