ঝিনাইগাতী উপজেলা রাজনীতির হালচাল: বি,এন,পি নিশ্চুপ; আওয়ামীলীগ মাঠে-জেলে বিভক্ত

ao-bnp_0শেরপুর জেলার সমস্যায় জর্জরিত ঝিনাইগাতী উপজেলায় রাজনীতির হালচাল নিয়ে চিন্তিত রয়েছে সাধারণ মানুষ।স্বাধীনতার পর এই উপজেলা থেকে এমপি নির্বাচিত না হওয়ায় রাজনৈতিক ও উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এলাকাটি। বড় দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা রাজনৈতিক ভাবে মানুষের মন আকৃষ্টি করতে না পারলেও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মূলত দুই দলের মধ্যেই লড়াই হয়েছে এতে বি,এন,পি প্রার্থী জেল খানায় থেকে বিজয়ের মালা গ্রহন করেছে। ইতি মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে,বি,এন,পি অংশ গ্রহন না করায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীই বিজয়ী হয়েছেন । আবার সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে প্রার্থীরা। রাজনীতিবিদদের সৎ ইচ্ছার অভাবে উপজেলাটি উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে সচেতন মহল মন্তব্য করেন। শেরপুর জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে চারটি পৌরসভা বাস্তবায়ন হলেও হয়নি ঝিনাইগাতী পৌরসভা। ফলে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এছাড়া গত নির্বাচনে স্যাটালাইট সংযোগের মাধ্যেমে ঝিনাইগাতীবাসীকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও সরকারের শেষ সময়ে বাস্তাবায়ন করতে পারেনি। দশম জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী দ্বায়িত্ব নেওয়ায় পর তার দিকে তীর্থের কাকের মত তাকিয়ে আছে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আশায় উপজেলাবাসী।

আওয়ামীলীগ ঃ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও পাওয়া না পাওয়ার বেদনায় কর্মীরা ফুলে ফেপে আছে। মহাজোট সরকারের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্থানীয় জোটের রাজনীতি দলের নেতাদের সমন্নয়হীনতার অভাবে তারাও মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইজ্ঞিনিয়ার এ,কে,এম ফজলুল হক চাঁন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গুটি কয়েক জনের সাথে চলাফেরা, কাছে নেওয়া, সুযোগ সুবিধা এবং কি তার প্রতিনিধি সৃষ্টি করেও আলোচনার ঝড় তুলে ছিলেন নবম সংসদের মেয়াদে। তবে মান অভিমানে সরকারের দ্বিতীয় সময়ে এসে সংসদ সদস্য সকল নেতা কর্মীদের সহিত যোগাযোগ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এলাকাতেও খোঁজ খবর রাখা শুরু করেছে,দশম জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় অতিতের ভুল ত্রুটি পিছনে ফেলে জনগণের উন্নয়নের কাজে বদ্ব পরিকরের কাজে দৃষ্টি রাখছেন বলে শুনা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান আওয়ামীলীগ সভাপতি এস,এম,এ ওয়ারেজ নাঈম, মনোনোয়ন নেওয়ার জন্যে মাঠ ও জেলায় দৌড় যাপ করছে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে ও গোপনে বিভিন্ন সংস্থার জরীপে এস,এম,এ ওয়ারেজ নাঈম এগিয়ে থাকলেও দলের কোন্দলে পিছিয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে আজও ঝিনাইগাতীবাসী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন না পাওয়ায় সমথর্কদের পাল্লা দিন দিন ভারী হচ্ছে। কিন্তু গত ৪ই ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের কাউন্সিল কে সামনে রেখে নিজ দলের দুই গ্রূপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্সে ঝিনাইগাতীর রাজনীতির মাঠ ছিল মিডিয়ার শিরোনাম । এতে দুইটি মামলা হওয়ায় একটি শক্তিশালী গ্রƒপ গা ঢাকা দিয়েছে ফলে আওয়ামীলীগের স্থানীয় দলের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ওই মামলায় ১৮ই জানুয়ারী ৬৮জন নেতা কর্মিরা আদালতে আত্ব সর্মপণ করলে বিচারক জামিন নাকচ করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। ফলে জেলে থাকা নেতাদের আত্বীয় স্বজনরা বর্তমান আওয়ামীলীগ কমিটির প্রতি ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাঈম কে আস্তে আস্তে দলের মধ্যে যে গ্রহন যোগ্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তা ভেস্তে গেছে বলে দলের অপর অংশ থেকে জানা গেছে। ফলে বি,এন,পি নির্বাচনে ফায়দা লুটার সুযোগটা কাজে লাগাবে বলে সাধারণ নেতা কর্মিরা জানিয়েছে।

বি,এন,পি ঃ ঝিনাইগাতী উপজেলায় দলের গ্রুপিং এর দরুণ বিরোধী রাজনীতির কোন কর্মসূচি বিগত সময়ে রাজপথে দেখা যায়নি। গত রমজান মাস থেকে শুরু করে অধ্যবদি পর্যন্ত দলকে গোছানোর লক্ষ্যে ওয়ার্ড,ইউনিয়ন ভিতৃক ভোটের মাধ্যমে বি,এন,পির কান্ডারি সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,জেলা আহবায়ক মাহমুদুল হক রুবেল ইফতার পাটির কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে মাস ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে দলকে চাঙ্গা করেছে। বি,এন,পির ঘাটি হওয়া সত্যও কোন কর্মসূচি পালন না হওয়ায় সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। রাজনীতি বিশ্লেষকরা জানায় সামনের দিনে রাজনীতি কর্মকান্ড চাঙ্গা করার জন্য মাঠ পর্যায়ে নেতা কর্মীরা কাজ করছে। এই দল থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম (বাদশা),বি,এন,পির সমর্থন পেয়ে পূণরায় নির্বাচিত হয়েছেন । আমিনুল ইসলাম (বাদশা) বিকল্প কোন প্রার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে মাঠ পর্যায়ে গুনজন সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন জরিপে বর্তমান কোন গ্রƒপিং না থাকায় বি,এন,পির সমর্থক প্রার্থীর মাঠ এগিয়ে রয়েছে। তারা মনে করে বি,এন,পি থেকে যে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এই আসনটি বি,এন,পির অনুকুলে চলে আসবে। কিন্তু দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার র্দূদিনে আন্দোলনের ডাকে বি,এন,পির অংঙ্গ সংগঠনের কোন দলকেই দেখা যায়নি। তবে ছাত্রদলের একটি অংশ এখলাছ গ্রƒপ নেত্রীর কঠিন সময়ে আন্দোলনে সাড়া দিতে এশে দুই ২বার পুলিশের নিকট আটক হয়।এই অবরোধেও তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। কমিটি গঠন চলাকালীন সময়ে দেখা গেছে পদনিয়ে নেতাদের সাথে ফনোলাপ বি,এন,পি সমর্থকদের বাড়ী,বাড়ী ভোট প্রার্থনা। আন্দোলনে খবর নেই ওই সব নেতাদের। অবরোধে কোন নেতা কর্মি পুলিশের ভয়ে রাতে বাড়িতে থাকেন না । নেতৃত্বের অভাবে কর্মিরা নিশ্চুপ হয়ে আছে বলে দলীয় শুত্রে জানা যায় ।

দুই দলের জোটের কোন শরীক দল উপজেলায় নেই বললেই চলে। তাদের কোন কর্মসূচিও চোখে পড়ে না। তবে সম্প্রতি আওয়ামীলীগের শরীক দল জাসদের কিছু কর্মসূচি লক্ষ করা গেছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend