প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত তরুণীকে মারধর

6_1 (1)বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে সারা দিন অবস্থান ও অনশনের পর রাতে অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে এক প্রেমিকাকে। তবে বিয়ে না হলে আবারও অনশন করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ওই প্রেমিকা।

ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে। প্রেমিকা নুরজাহান খাতুন মেহেরপুর শহরের একটি বিউটি পার্লারের কর্মী। তিনি গাংনীর শিশিরপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল গনির মেয়ে।

মঙ্গলবার প্রেমিক সেলিম রেজার বাড়িতে অনড় অবস্থান নেন নুরজাহান। এ সময় সেলিমের মা ও ফুফু তার চুলের মুঠি চেপে বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করেন। নুরজাহানও পাল্টা তাদের চুলে ধরেন। ফলে নুরজাহানের সঙ্গে তাদের চুলোচুলির ঘটনা ঘটে।

নুরজাহানের অভিযোগ থেকে জানা যায়, সেলিম রেজার কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে গিয়ে তাদের পরিচয়। একপর্যায়ে প্রেম এবং পরিণতির প্রতিশ্রুতি। বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরেই সেলিম রেজার সঙ্গে তার মেলামেশা।

কয়েক মাস ধরে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও পাশ কাটিয়ে যেতে শুরু করেন সেলিম রেজা। গোপনে গত ১৫ ডিসেম্বর কোদাইলকাটি গ্রামে বিয়ে করেন সেলিম রেজা। কিন্তু তা জানতেন না নুরজাহান। এ অবস্থায় নুরজাহান বিয়ের চাপ অব্যাহত রাখলে সেলিম তাকে নিয়ে যান বাওট গ্রামে ফুফুবাড়িতে।

সেলিমের বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে নুরজাহানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। নিরুপায় হয়ে তিনি সেলিমের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। ছাতিয়ান শেখপাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজা পেশায় একজন পোশাক ব্যবসায়ী। বামুন্দি বাজারে রেজা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী।

তিনি নুরজাহানের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে সে প্রেমের নাটক করছে। তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না।

এদিকে প্রেমিকার অনশনের খবর শুনে এলাকার শত শত উৎসুক মানুষ সেলিমের বাড়িতে ভিড় করেন। অবশ্য তার আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সেলিম। নুরজাহানকে মারধরের দৃশ্য দেখেন এলাকার অনেকেই। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend