খেল-তামাশা বন্ধ করুন, সরকারকে হেফাজত

hefajotদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে ‘খেল-তামাশা’ না করতে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে হেফাজত। তারা বলেছে, দেশে মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। সরকার পুলিশ দিয়ে মানুষকে জিম্মি করছে; গুম-খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। সরকারের ইন্ধনে লুটেরা বাহিনীতে পরিণত হয়েছে পুলিশ। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
শুক্রবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন ইকরামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি করেন হেফাজতের নেতারা। দেশের মানুষ এ ধরনের ‘জুলুমবাজের’ সমুচিত জবাব দেবে বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আন্দোলন একক কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন অধিকার আদায়ের আন্দোলন। সন্ত্রাসবাদ, জুলুমবাজ, মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন চলবে।”
ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ার করে হেফাজতের নেতারা বলেন, “দেশের মানুষের অধিকার নিয়ে খেল-তামাশা করবেন না। আজকে মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করছে পুলিশ। যে পুলিশকে জনগণের টাকা দিয়ে বেতন-ভাতা দেয়া হয়, সেই পুলিশ সরকারের ইন্ধনে লুটেরা বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।” জনগণকে প্রতিরোধের হাতিয়ার নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “হেফাজতের আন্দোলন দল-মতনির্বিশেষে সব দেশপ্রেমিক কৃষক-শ্রমিকের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে বর্তমান সরকার ভয় পায়। কারণ তারা দেশের মঙ্গল চায় না। তারা পুলিশ দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে আর গুম-খুনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।”
এই সরকারের আমলে ইসলাম ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে হেফাজতের নেতারা বলেন, “দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধরাও নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটে। তারা সাপুড়ের মতো একদিকে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালায়, অন্যদিকে তাদের জন্য মায়াকান্না দেখায়।” হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের সংখ্যালঘু কৃষক-শ্রমিক তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে বলে দাবি করেন নেতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন হেফাজতের নায়েবে আমির আল্লামা শামশুল আলম, আল্লামা আহমদ উল্লাহ আশরাফ, আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমদ উল্লাহ, আল্লামা মুফতি মুজাফ্ফর আহমদ, আল্লামা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা নুর হুসেন কাসেমী, আল্লামা ইদরিস, আল্লামা আবদুল মালেক হালিম, আল্লামা তাফাজ্জুল হক, আল্লামা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, আল্লামা হাফেজ তাজুল ইসলাম, মহাসচিব আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরী, আল্লামা লুকমান হাকিম, আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা জুনাঈদ আলহাবিব, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা ছলিমুল্লাহ, মাওলানা মঈনুদ্দীন রূহী, মাওলানা আনাছ মাদানী, মাওলানা কাতেব ইলিয়াছ ওসমানী প্রমুখ।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend