২০ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তির প্রত্যাবর্তন

Deadman-comesগ্রামে তার শ্রাদ্ধ (মৃত্যু পরবর্তী অনুষ্ঠান) করা হয়েছে। স্ত্রী কাটাচ্ছেন বিধবার জীবন। ‘হত্যাকারী’দের দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন দণ্ড। অথচ সেই ‘মৃত’ উমাই কিনা ফিরে এলেন! না মৃতদেহ নয়, জীবন্ত উমা।
প্রায় ২০ বছর আগে ১৯৯৫ সালে ভারতের নওদা জেলার সাকারপুরা গ্রামের বিনয় সিং স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করেছিলেন। পাঁচজনকে আসামি করে দায়ের করা ওই এফআইআরে উল্লেখ ছিল, তার বাবা উমা সিংকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ তদন্তে গিয়ে উমার কোনো চিহ্ন খুঁজে না পেলেও অভিযুক্ত পাঁচজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে। ওই চার্জশিটের ভিত্তিতে জেলা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় জেলা আদালত।
আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে পাটনা হাইকোর্টে আপিল করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। মামলাটি এখনও চলছে।
এমন অবস্থায় হঠাৎ করেই আবিষ্কৃত হল উমা এখনও মরেননি! পাঞ্জাব পুলিশ তাকে আটক করে গত সোমবার বিহারের আদালতে পাঠিয়েছে।
উমার এই ‘মৃত’রূপ ধরার বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। ১৯৮৩ সালে এক হত্যা মামলায় স্থানীয় আদালত উমা সিংকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এ রায়ের পরপরই নিজ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় উমা।
সেখান থেকে পাঞ্জাবের মোহালিতে গিয়ে নরসিংহ মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। নিজ নাম পরিবর্তন করে রাখেন বাবা মোহনদাস।
সম্প্রতি উমার জীবনে দুর্ভাগ্য বয়ে আনে মন্দিরের জমি নিয়ে বিরোধ। এর সূত্র ধরে তার বিরোধীরা ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে সাকারপুরা গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে তারা বাবা মোহনদাসের আসল নাম ও ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন।
পরে তারা পাঞ্জাব পুলিশকে জানালে বাবা মোহনদাসরূপী উমাকে আটক করা হয়।
পুলিশের ধারণা, শাস্তি থেকে বাঁচতেই উমা সিং ওই অপহরণ ও হত্যার ঘটনা সাজায়। তথ্যসূত্র : আইএএনএস, খালিজ টাইমস।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend