বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন; বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার বাংলাদেশিরা দুমাস সাগরে ভাসছিলেন

image_221561.teknaf_illegal_migrants_640x360_bbcbangla_nocreditআটকদের অনেককেই জোর করে ট্রলারে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ
বাংলাদেশ থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মঙ্গলবার রাতে আটক লোকজন জানিয়েছেন, প্রায় দুইমাস ধরে তারা সাগরে ভাসছিলেন।
আটক ১১৬ জনের অনেকে স্বেচ্ছায় রওয়ানা হলেও, অনেকে বলেছেন পাচারকারীরা তাদের অপহরণ করে এনে জোর করে ট্রলারে তুলে দিয়েছিল।
বাংলাদেশের কোস্টগার্ড মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের অদূরে সাগর থেকে ট্রলারটি উদ্ধার করে যাত্রীদের তীরে নিয়ে আসে।
পরে দুপুরের দিকে তাদের টেকনাফ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আকবর হোসেন সকালের দিকে কক্সবাজারে টেকনাফে কোস্টগার্ড কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া কজনের সাথে মুখোমুখি কথা বলেছেন।
মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দালালরা এক সময়ে সটকে পড়ায় ১১৬ জন যাত্রী নিয়ে সেই নৌকা তারা কোথাও ভেড়াতে পারছিলেন না।
হবিগঞ্জ থেকে আসা জিহাদ মিঞাকে দালালরা বলেছিল পাসপোর্ট আর তিরিশ হাজার টাকা দিলে বিমানে তাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা তারা করবে।
এরপর তাদের নির্দেশে চট্টগ্রাম গিয়ে বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করেও যাওয়া হয়ে ওঠে নি জিহাদ মিঞার।
আটক ১১৬ জনের মধ্যে অনেকে নিজের ইচ্ছায় মালয়েশিয়া যেতে চাইলেও অনেকে আবার পাচারকারীদের খপ্পরেও পড়েছেন। তারা জানতেনও না ওই নৌকা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে কোন্ সমুদ্রে যাচ্ছে।
আটক একজন বলছিলেন এক বন্ধুর সঙ্গে টেকনাফে আসার পর তিনি জানতে পারেন দালালরা তাকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। পালাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ট্রলারে জোর করে তুলে মিয়ানমার হয়ে আরো অনেকের সাথে তাকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে অথৈ সমুদ্রে।
সাগরে ভাসমান সেই নৌকার হাল ধরেছিলেন আরেকজন যাত্রী। তিনিও জানতেন না অকূল সমুদ্রে কোন্‌ পথে যেতে হবে। দালালরা নৌকায় তাদের তুলে দিয়েই সরে পড়ে।
ভাসমান এই নৌকা বাংলাদেশ সীমান্তে কোস্ট গার্ডের নজরে এলে কোস্ট গার্ড তা উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে।
আটক ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পুলিশ বলছে তাদের জবানবন্দী নেওয়ার পর দালালদের চিহ্নিত করতে তারা পদক্ষেপ নেবে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend