‘ও আমার বউ না, ওকে আমি বিয়ে করিনি’

girl_0ও আমার বউ না, ওকে আমি বিয়ে করিনি। আমার চাকরির ক্ষতি করার জন্য সে আমার পিছনে লেগেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নড়াইলের গৃহবধূ ববিতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি ববিতার স্বামী সেনা সদস্য শফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করতে নেওয়ার সময় নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আরো বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। আমার চাকরির ক্ষতি করার জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

ববিতার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই এমন দাবি করে ওই সেনা সদস্য বলেন, আমি বিবাহিত। আমার স্ত্রী রয়েছে। গোপালগঞ্জে আমার শ্বশুরবাড়ি। আমার বিরুদ্ধে সিলেট সেনানিবাসেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেখানে ববিতার সঙ্গে বিয়ের দুটি কাবিননামা জমা দিয়েছে সে। আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।

এ ঘটনায় শফিকুল শেখসহ গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটের শাহপরাণ (র.) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলমগীর ওই সেনা সদস্যকে আটক করে সিলেটের শাহপরাণ থানায় হস্তান্তর করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই নজরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শাহপরাণ থানা থেকে শফিকুলকে গ্রেফতার করে লোহাগড়া থানায় নিয়ে আসে।

এ ছাড়া সোমবার রাত দেড়টার দিকে ববিতার শ্বশুর সালাম শেখ, ভাসুর হাসান শেখ ও প্রতিবেশী নান্নু শেখকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম। তবে এ মামলার অপর আসামি ববিতার শাশুড়ি জিরিন আক্তার ও আজিজুর রহমান আরজুকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend