‘পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত’

cecসিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় থেকে বের হওয়ার পথে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ১৯ এপ্রিল ইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের দরকার হলে ইসি সে ব্যবস্থা নেবে।’

দলীয় নেতাকর্মী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, ‘আমরা তাদের পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, নির্বাচনে যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন হয়, আমাদের নিজেদের সেই পরিমাণ লোক নেই। বেশিভাগ লোকই শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘পোলিং এজেন্টসহ নির্বাচনী কাজে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের তালিকা সবাই দেখেন, এগুলো লুকোনোর কিছু নেই। অতীতেও আমরা এ তালিকা প্রার্থীদের দেখিয়েছি। তালিকা দেখার পর কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ইসি ব্যবস্থা নেবে।’

আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বৈধ করতে ইসি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইন মোতাবেক তাদের তিন দিনের মধ্যে আবেদন করতে বলেছি। আপিল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে ‍শুনে বিবেচনা করবেন। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।’

প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ হয়রানি করছেন, এ বিষয়ে ইসি কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তিনি বলেন, ‘আইনেই বলা আছে যারা আদালত থেকে জামিন নেবেন তাদের বিরুদ্ধে একরকম ব্যবস্থা, আর যারা পলাতক বা লুকিয়ে রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে একরকম ব্যবস্থা।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, জামিন নেওয়া কোনো প্রার্থীকে যেন হয়রানি না করা হয়।

লেভেল প্লেয়িং ফিন্ড করতে বিএনপিকে সহয়তা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে সহায়তার বিষয় নয়।’

এর আগে বিকাল ৩টায় আ স ম হান্নান শাহর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে প্রায় দেড়ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, এ এস এম আবদুল হালিম, সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, ইসির সাবেক সচিব আবদুল রশিদ সরকার ও সাবেক যুগ্ম-সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend