বিলবোর্ড-ব্যানার অপসারণ শুরু করেছেন প্রার্থীরা

City-Election-hoনির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশের চার ঘণ্টার মাথায় বিলাবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন অপসারণ শুরু করেছেন ঢাকা (দক্ষিণ) সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দাবি, ইসির নির্দেশ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তড়িৎগতিতে বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ শুরু করেছেন তারা।
বুধবার রাত ৮টায় নিজে উপস্থিত থেকে হোটেল ‍রূপসী বাংলা মোড়ের নির্বাচনী বিলবোর্ড অপসারণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
এ সময় তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের চার ঘণ্টার মাথায় তড়িৎগতিতে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইসি বুধবার বিকালে তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ প্রার্থীদের সমস্ত বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তার নির্দেশ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বিলবোর্ড খোলা শুরু করি। আশা করছি, ইসির বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই রাজধানীর সব বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ করতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘ইসির আচরণবিধি মেনেই আমরা নির্বাচন করব।’City-Election-th-

দক্ষিণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নতুন প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি, ‘দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা হবে। অন্য কোনো প্রার্থী এলেও তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ থাকবে না।’
অন্যদিকে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা ক্লাবের বিপরীতে থাকা নির্বাচনী বিলবোর্ড অপসারণ করেন ঢাকা মহাগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থী হাজী মো. সেলিম।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা ক্লাবের সামনে থেকে বিলবোর্ড নামিয়েছি, আগামীকালের মধ্যে অন্যগুলো নামিয়ে ফেলব। ইসির নির্দেশে প্রতি সম্মান রেখেই আমার সমর্থকদের সকল প্রকার বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন খুলে ফেলতে বলেছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘আশা করি ইসির বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আমার যেসব ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড আছে তা উঠিয়ে ফেলতে পারব।’

সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১০ এর অনুচ্ছেদ ৪-এ নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্র্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না।’
বিধি অনুসারে, ভোটগ্রহণের দিন থেকে পূর্ববর্তী ২১ দিন প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি নির্দেশ অমান্য করে ইসি সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন।
বুধবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ তিন সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণাকালে সিইসি বলেন, ‘ঢাকা শহর ও চট্টগ্রামে সম্ভব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে বিলবোর্ড, ফেস্টুন লাগিয়েছেন। আমি তাদের উদ্দেশে বলছি, তারা যেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ দায়িত্বে বিলবোর্ড, নামিয়ে নেয়। নির্দেশ পালন করা না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ, যাচাই-বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ এপ্রিল।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend