রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ৩ মন্ত্রী ভোট দিতে পারছেন না

bar-eleactionসুপ্রীম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
নিজেদের সংগঠনের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বার্ষিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না তারা। সুপ্রীম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।
সুপ্রীম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক নির্বাচন শুরু হয় ১৫ মার্চ। দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচনের প্রথম দিন রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। দ্বিতীয় দিন সোমবারের ভোটগ্রহণ চলছে। এটি শেষ হবে বিকেল ৫টায়।
সুপ্রীম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম বলেন, বার এ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেউ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হলে তিনি সহযোগী সদস্য হিসেবে থাকেন, তবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।
তিন মন্ত্রীর ভোট দিতে না পারার বিষয়টি সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য জানান, বার এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলে দু’জনের ভোট দিতে না পারার বিষয়টি নিয়ে অনেকে হাস্যরস করেন। কেউ কেউ বিষয়টি অগণতান্ত্রিক বলেও অভিহিত করেন। আবার অনেকে ভোট দিতে না পারা মন্ত্রীদের নিয়ে আফসোসও করেন।
ভোট দিতে না পারা জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ বেশ কয়েকজন এ্যাডভোকেট হলেও তারা সুপ্রীম কোর্ট বারের সদস্য নন। তবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমন নিয়ম থাকা উচিত নয়। কারণ মানুষের ভোট নিয়ে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। তাই সংশ্লিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনে সদস্যদের ভোটাধিকার থাকা উচিত।
হাইকোর্ট বারের নির্বাচনকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে এ পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend