দুই নায়কের প্রত্যাবর্তন, অনুপ্রেরণায় ‘২০১১’

Imrul২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দলকে জিতিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও শফিউল ইসলাম। ৪ বছর পর আবারও তেমন কীর্তি গড়ে দেখানোর সুযোগ তাদের সামনে। এবার প্রতিপক্ষ সেই ইংল্যান্ড। সোমবার গ্রুপ পর্বের খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। অপ্রত্যাশিতভাবেই এই ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে এই দুই ক্রিকেটার। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ছিলেন না তারা। তবে ভাগ্যচক্রে এই দু’জনই বর্তমানে ১৫ সদস্যের দলে রয়েছেন। শৃঙ্খলাজনিত অপরাধে বাদ পড়েছেন পেসার আল-আমিন। তাই সুযোগ পেয়েছেন পেসার শফিউল ইসলাম। অন্যদিকে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ইনজুরিতে ভাগ্য খুলেছে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসের।
এই ২ জনেরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি খেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফির কথায় এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে। তবে কি ২০১১ সালের পুনরাবৃত্তি হতে চলছে অ্যাডিলেডে! অবশ্য এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি দিন। এরপরই জানা যাবে আসলে অ্যাডিলেডের মাঠে কি আছে বাংলাদেশের ভাগ্যে।
২০১১ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বড় ব্যবধানে হারের পর কেউই প্রত্যাশা করেনি ইংল্যান্ডকে ধরাশয়ী করবে বাংলাদেশ। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বাংলাদেশ বেশ ভাল ক্রিকেট খেলছে চলতি বিশ্বকাপে। তার তুলনায় ইংল্যান্ড অনেকটাই পিছিয়ে। যদিও ১৫ বারের মুখোমুখি লড়োইয়ে এখন অব্দি বাংলাদেশ ২ বার হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে; বাকি ১৩টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
সোমবার অ্যাডিলেডে মাঠে নামার আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি প্রেরণা হিসেবে কাজ করতেই পারে বাংলাদেশের জন্য। বিশেষ করে ভাগ্যচক্রে দলে জায়গা পাওয়া ইমরুল ও শফিউলের জন্য। ২০১১ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ইমরুল কায়েস ৭৬ রান করেছিলেন। ইনিংসটা আর বড় হয়নি কারণ দুর্ভাগ্যবশত তিনি রান আউট হয়েছিলেন। আর বল হাতে ১ উইকেট নিলেও বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন পেসার শফিউল। কেননা, তার অপরাজিত ২৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
গত বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই এবারো বাংলাদেশ শিবিরে এমন ভাবনাটা নিশ্চয়ই অমূলক নয়। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে শফিউল দ্য রিপোর্টকে বলেছিলেন, ‘গত বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি করতে চাই। নিজের সেরাটা দিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত আমি।’ এদিকে ইমরুল কায়েসও দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘আমি পরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। এটা আমার জন্য কঠিন হবে। তার পরও চেষ্টা করছি কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যদি সুযোগ পাই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বরাবর যেমন পারফরম্যান্স করি তেমনটাই করার চেষ্টা করব। এ ছাড়া গত বিশ্বকাপের অনুপ্রেরণা তো একটু কাজ করবেই।’
শফিউল-ইমরুলের মনের ভাবনাগুলো যাই হোক না কেন, বাংলাদেশ যে ইংল্যান্ডকে ছেড়ে কথা বলবে না এটা সহজেই অনুমেয়। রবিবার অনুশীলন তার একটা রেশ পাওয়া গেছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারই বদ্ধপরিকর সোমবারের ম্যাচ নিয়ে। তাদের চোয়াল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে ইংল্যান্ড নিশ্চয় অসহায় আত্মসমর্থন করবে না; এটা তো হওয়ার নয়। তাহলে কি অ্যাডিলেড ওভালে সোমবার জমজমাট এক লড়াই অপেক্ষা! করছে দেখার অপেক্ষায় প্রস্তুত।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend