যাত্রীবাহী বাসে আগুন, বিএনপির অফিস ভাঙচুর কুমিল্লায় আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৩

Homeজেলায় ২০ দলের ডাকা হরতাল চলাকালে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে জেলা বিএনপির কার্যালয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের তিন সদস্যসহ ১৩ জন আহত হন।

এদিকে, কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবিহীন একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জলার নূরীতলা এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়সহ এর আশপাশের এলাকায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া দ্য রিপোর্টকে জানান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ২০ দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে। হামলায় তাদের ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে, সকাল ১০টার দিকে হরতালের সমর্থনে ২০ দলীয় জোটেরে নেতাকর্মীরা চকবাজার এলাকায় মিছিল বের করে। একপর্যায়ে মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু জানান, আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে বিএনপিকর্মীরা ককটেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, কান্দিরপাড় এলাকায় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের এক এসআই, এক কনস্টেবল ও হাবিলদার আহত হন।

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৫০ রাউন্ড শটগানের গুলি এবং ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, সকাল ১০টার দিকে চকবাজারেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা, ওই ঘটনায় ২০ দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার নয় উপজেলায় (কুমিল্লা সদর, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, নঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বরুড়া, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হয়।

এদিকে, কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবিহীন একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জলার নূরীতলা এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নূরীতলা এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একতা পরিবহনের একটি বাস (চট্টমেট্টো-জ-১১৫৬) অবরোধে কারণে ওই স্থানে অবস্থান করছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কয়েক দুর্বৃত্ত গাড়িটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোর্শেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি শুনেছি। খবর নেওয়া হচ্ছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend