মেয়র আরিফ বরখাস্ত

ariful-haque-chowdhury_CCCসাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বুধবার এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসাইন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯’ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী সিলেটের মেয়রকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়েছে।’
১২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, যেক্ষেত্রে কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র অথবা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগপত্র আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে, সেক্ষেত্রে সরকার, কমিশনের সঙ্গে পরামর্শক, লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়র বা কোনো কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে।
কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামী বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা আমলি আদালত-১-এ আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-১ শাখা থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, আরিফুল হকের অভিযোগপত্র আদালতের গ্রহণ এবং তিনি কারাগারে আটক থাকায় মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রশাসনিক দৃষ্টিকোন থেকে সমীচীন নয় বলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ১২ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা অধিকতর তদন্ত শেষে সিলেট সিটি মেয়রসহ ৩২ জনকে আসামী করে ১৩ ডিসেম্বর সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত ২১ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।
২২ ডিসেম্বর আদালত মেয়র আরিফসহ ওই মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা জারির পর আরিফ আত্মগোপনে চলে যান।
২৮ ডিসেম্বর একই মামলায় হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জি কে গউছ একই মামলায় আত্মসমর্পণ করেন। ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে হাজির হন তিনি। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার জামিন প্রার্থনা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩১ ডিসেম্বর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতালের ডা. দেবাশীষ দাস কারাগারে তাকে দেখে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend