আট জেলায় নির্মিত হবে ৯ ব্রিজ

Govt৩০৫ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯টি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
গ্রামীণ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারজাতকরণ সহজ করার জন্য নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কক্সবাজার, খুলনা ও মাগুরা জেলায় ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হবে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুগুলোর নির্মাণ বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
৯টি সেতু হচ্ছে— মনোহরদী সেতু, মানিকগঞ্জ সেতু, কলমাকান্দা সেতু, মাগুরা সেতু, দাকোপ সেতু, নবীনগর সেতু, রামু সেতু, সাঘাটা সেতু-১ ও সাঘাটা সেতু-২।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য মোহাম্মদ সফিকুল আজম বলেন, ‘২০১৪-১৫ অর্থবছরের এডিপিতে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান সেক্টরের আওতায় এলজিইডির থোক বরাদ্দের পরিমাণ ২৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ওই বরাদ্দ হতে ২টি প্রকল্পের অনুকূলে ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ চাহিদা ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘এলজিইডির থোক বরাদ্দ থেকে প্রকল্পের চাহিদার আংশিক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ও বরাদ্দ স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি গ্রামীণ জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, কৃষি ও অকৃষি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কক্সবাজার, খুলনা ও মাগুরা জেলায় একটি করে এবং গাইবান্ধা জেলায় দু’টি মোট ৯টি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ২৯৯ কোটি ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটির ওপর পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) পুনর্গঠন করা হয়েছে। বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সেতুগুলোর সংযোগ সড়কের পরিমাণ পুনর্নির্ধারণ করায় ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ এক একর থেকে ২৩ দশমিক ৪৬ একর নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ খাতের ব্যয় ২০ লাখ টাকা থেকে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন করে ৩০৫ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭-এর মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend