মাটির ২০ ফুট নিচ থেকে লাশ উদ্ধার

74aecb8ce9999d58da23f857f852ce2e-Daudkanকুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ব্যবসায়ী আতাউর রহমান (২৬) নিখোঁজ হন গত ১৪ নভেম্বর। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। তবে আজ বৃহস্পতিবার মাটি খুঁড়ে ২০ ফুট গভীর থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে।
দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে আতাউরের ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতির ব্যবসা ছিল। তাঁর বাড়ি উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামে।
আতাউরের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর বিকেলে একই উপজেলার মজিতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন আতাউর। সেখান থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি। ভাইকে না পেয়ে গত ২৩ নভেম্বর আতাউরের বড় ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস থানা পুলিশ গতকাল বুধবার রাত ১২টার দি কে দড়িকান্দি গ্রামের সুমন, আমজারুল ও আনোয়ার হোসেন এবং শিবপুর গ্রামের সালাহ উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁরা আতাউরকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের স্বীকারোক্তি এবং দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় শিবপুর গ্রামের একটি সরষে খেতের ২০ ফুট মাটির নিচ থেকে আতাউরের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আতাউরের পরিবার জানায়, সে একজন ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের সালাহ উদ্দিন দুই লাখ টাকা ধার নেন। পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধে। সালাহউদ্দিন পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তাঁদের ধারণা।

আতাউরের বাবা আবদুল লতিফ মোল্লা বলেন, ‘যাঁরা আমার নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করেছে, প্রশাসনের কাছে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তিতাস থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, আটক করা ব্যক্তিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগামীকাল শুক্রবার তাঁদের কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হবে।

তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি ও দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আতাউরের বড় ভাই জিয়াউর রহমানের করা জিডি আজ বৃহস্পতিবার হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend