বিশেষ সাক্ষাৎকার: পিটার আইগিন দুর্নীতিগ্রস্ত উন্নয়ননীতি গ্রহণযোগ্য নয়

অধ্যাপক ড. পিটার আইগিন কয়েক দশক ধরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের ব্রত নিয়ে ১৯৯৩ সালে তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি টিআইয়ের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান। আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন হার্ভার্ড, জনস হপকিনস, ফ্রাঙ্কফুর্ট/এম ও ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি গত বছর জার্মানিতে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অব মেরিট’-এ ভূষিত হন। ঢাকা সফরকালে ২১ নভেম্বর তাঁর এ সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।

5fce9c8a21fd8c6333e3ce065b88662e-28প্রশ্ন : আপনি যাদের ‘ব্যর্থ শাসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সেসব দেশে কী প্রভাব ফেলছে টিআই প্রতিবেদন?
পিটার আইগিন : আগেই পরিষ্কার করে নিই, আমি ঢাকায় বাংলাদেশের সরকার কী করছে সে বিষয়ে কোনো মতামত দিতে আসিনি। এ বিষয়ে টিআইবি কথা বলবে। ২০ বছর আগে যখন আমরা এই আন্দোলন শুরু করেছি তখনকার চেয়ে বিশ্বে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি ঘটেছে। জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, কানাডা ও জাপানের মতো দেশে দুর্নীতিকে দরকারি মনে করা হতো। সেই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে। সমাজে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব শক্তিশালী হয়েছে। ওয়ালস্ট্রিট, তিউনিসিয়া কিংবা কানকুনে মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
প্রশ্ন : কিন্তু কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গুণগত মান উন্নয়নে তা কি ভূমিকা রেখেছে?
পিটার আইগিন : কতিপয় ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবি ব্যবস্থার নিকৃষ্ট রূপ দেখা যাচ্ছে। আবার সাফল্যও আছে। কেনিয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিবাকি যখন নির্বাচিত হলেন, তখন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলেন। টিআইয়ের কেনিয়া চ্যাপ্টারের প্রধানকে তাঁর দপ্তরের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর স্থায়ী সচিব করে নিলেন।
প্রশ্ন: তার মানে সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান পদে যিনি আছেন, তাঁর ইচ্ছাটা থাকতে হবে।
পিটার আইগিন : সেটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও যথেষ্ট নয়। বহু দেশে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমান চীনা রাষ্ট্রপতি কঠোরতম মনোভাব গ্রহণ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটা ধরে রাখা কঠিন; যদি না সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠজন, যদি জনপ্রশাসনের নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত লোকজন তাতে অংশগ্রহণ না করে। সবচেয়ে বড় কথা হলো সুশাসনের জন্য সমাজের মধ্যে যদি দাবি না থাকে, তাহলে দুর্নীতিবিরোধী প্রক্রিয়া টিকে থাকে না। কেনিয়ায় দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আবার ফিরে এসেছেন। টিআই চ্যাপ্টারের প্রধানকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। আবার জার্মানিতে যাঁরা দুর্নীতিকে আইনসিদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা পিছু হটেছেন। এখন প্রায় ১২০টি কোম্পানি বিদেশি রাষ্ট্রে ঘুষ প্রদানের জন্য জার্মানির আদালতে বিচারের সম্মুখীন।

প্রশ্ন:কিন্তু এ রকম উদাহরণ কি উন্নয়নশীল বিশ্বে দেখাতে পারবেন?
পিটার আইগিন : এতে পরোক্ষভাবে উন্নয়নশীল দেশও উপকৃত হচ্ছে। কারণ, জার্মানির ওই কোম্পানিগুলোই উন্নয়নশীল দেশের সরকারগুলোর নীতিনির্ধারকদের ঘুষ প্রদান করেছিল। নাইজেরিয়ায় রাষ্ট্রপতি ওবাসানজো দীর্ঘদিন ধরে বিরাট পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি একটি অর্থনৈতিক অপরাধ দমন কমিশন করেছিলেন। আর তাতে গভর্নর ও সংসদ সদস্যদের বিচার হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্ছে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে চাইলেন না। জোর করে তাঁর সাংবিধানিক মেয়াদের বাইরে থাকতে চাইলেন। ব্যর্থ হলেন। আর এখন রাষ্ট্রপতি গুডলাক জনাথন উল্টো পথে হাঁটতে চলেছেন।
প্রশ্ন : টিআই দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনসহ নানা কর্মপন্থা উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ তা গ্রহণও করেছে। কিন্তু দুর্নীতি আগের মতোই আছে।

পিটার আইগিন : দুর্নীতিবিরোধ বিধিবিধান কোথায় কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে তার ওপর সুফল নির্ভর করছে। অনেক দেশে জনগণ এখন সরকারকে প্রশ্ন করছে, কী ঘটছে, কেন ঘটছে? আপনি যদি মন্ত্রীদের সম্পদের বিবরণী মেয়াদ শুরুর আগে ও শেষে প্রকাশ করেন, তাহলে পরিবর্তন নিশ্চিত করা সম্ভব। দরিদ্র দেশগুলোর রাষ্ট্রপতিরা মেয়াদ শেষে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন। লাইবেরিয়া ও ঘানা চরম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। আবার রুয়ান্ডা ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার অবস্থা খারাপ হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের মনে ক্ষোভ সঞ্চার করানো ও তাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটানো গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: অনেকে বলেন, গণতন্ত্রের দরকার নেই, উন্নতি করতে পারলেই হলো।

পিটার আইগিন : আমি অনেক স্বৈরশাসককে দেখেছি, যাঁরা গণতন্ত্রীদের তুলনায় যথেষ্ট সৎ। বিশ্বব্যাংকে থাকাকালে আমি চিলি, আর্জেন্টিনা ও পেরুর উন্নয়নধারা লক্ষ করেছিলাম। চিলির কট্টর স্বৈরশাসক পিনোশে আর্জেন্টিনা ও পেরুর গণতান্ত্রিক শাসকদের চেয়ে অনেক বেশি সৎ ছিলেন। আজও ওই দুটি গণতন্ত্রের চেয়ে চিলি অনেক বেশি দুর্নীতিমুক্ত। সুতরাং যোগসূত্রটা সব সময় সরাসরি নয়।
প্রশ্ন : ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে স্বৈরশাসকেরা তাঁদের দুর্নীতি ও অনাচারের জবাবদিহি করা থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করেন। জাতিসংঘের কি উচিত নয় এই অবস্থাটি বদলাতে উদ্যোগী হওয়া?
পিটার আইগিন : আমি যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে শুরু করেছিলাম, বিশ্বব্যাংক তখন আমার বিষয়ে ঠিক এই নীতি গ্রহণ করেছিল। তারা যুক্তি দিল দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অর্থ হচ্ছে কোনো সার্বভৌম দেশের সংস্কৃতি, রাজনীতি ও ঐতিহ্যে হস্তক্ষেপ করা। বিশ্বব্যাংকের এসবের মধ্যে জড়ানো ঠিক হবে না। আমি এর প্রতিবাদে বিশ্বব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেছিলাম।
প্রশ্ন : অনেক ক্ষেত্রে মনে হয় বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির বিষয়ে মুখ খুললেও শেষ পর্যন্ত গা বাঁচিয়ে চলে। কারণ, তারা আসলে ‘দুর্নীতিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ বলেই মনে করে।

পিটার আইগিন : এটা অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন দেশ এবং বিশ্বব্যাংকের কোন স্টাফ মেম্বার এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তার ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন: ইন্দোনেশীয় নেতা সুহার্তো ও তাঁর স্ত্রী ঘুষ খেতেন। কিন্তু রাস্তা বা সেতু নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি তাঁরা সহ্য করতেন না। জনগণ চায় উন্নয়ন।
পিটার আইগিন : বিশ্বব্যাংকের একজন কর্মকর্তার কাছ থেকেও এই যুক্তি শুনেছিলাম। কিন্তু দুর্নীতির পক্ষে এই যুক্তি ভ্রান্ত। কারণ তিনি যদি ঘুষ না খেতেন, তাহলে তিনি আরও ভালো নেতা হতে পারতেন। যে টাকা তিনি চুরি করেছেন, সেই টাকা দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যয় করতে পারতেন। সুতরাং যাঁরা বলেন দুর্নীতি হলে উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে কিংবা দুর্নীতি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তাঁরা ভ্রান্ত। ভারত যদি বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত না হতো, তাহলে দেশটি উন্নয়ন তারকা হতে পারত। ক্ষমতাধরেরা চুরি না করলে নাইজেরিয়া হতে পারত স্বর্গ। কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা দুর্নীতির কারণেই নরকে পরিণত হয়েছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্ত উন্নয়ননীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশ্ন : নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথক্করণ এবং স্বাধীন বিচারক নিয়োগ কমিশন গঠন কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা যায় না? জাতিসংঘ তার সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে এ জন্য বাধ্যবাধকতার মধ্যে ফেলতে পারে না কি?

পিটার আইগিন : আমি মনে করি, অবশ্যই এটি হতে পারে শক্তিশালী হাতিয়ার। কিন্তু জাতিসংঘ খুবই দুর্বল। সদস্যদেশগুলো নিজ নিজ জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা চালায়। এর ফলে এই সংস্থাকে ঘিরে কতগুলো স্বল্পমেয়াদি ধারণার একটি ককটেল তৈরি হয়। তাই জাতিসংঘের পরিবর্তনের সামর্থ্য খুবই সীমিত।
প্রশ্ন: দুর্নীতি রোধে জাতিসংঘ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে কোনো সুপারিশ করবেন?
পিটার আইগিন : নিরাপত্তা পরিষদ ও তার ভেটো ক্ষমতা যে অবস্থায় রয়েছে তা নৈরাজ্যমূলক। আপনি কী করে এই সংস্থাকে দিয়ে কোনো কিছু আশা করতে পারেন? ফ্রান্সের চেয়ে জার্মানি দ্বিগুণ ধনী হওয়া সত্ত্বেও তার স্থায়ী আসন নেই। তাই জাতিসংঘের সার্বিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটাতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ভয়ানক ভুক্তভোগী। কিন্তু আপনি কি মনে করেন আগামী বছর প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে কোনো একটি কার্য চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হবে? বিশ্বব্যাংক এখন টিআইকে দুর্নীতির সূচকের মতো একটি জলবায়ু সূচক করার পরামর্শ দিচ্ছে।
প্রশ্ন: জি-৭৭ বলেছিল তারা ঘুষ গ্রহণকারী কোনো সরকারপ্রধান, মন্ত্রী বা তাঁদের পোষ্যদের ভিসা দেবে না। কিন্তু এটা তো অকার্যকর।
পিটার আইগিন : এটা একটা ‘উইশফুল থিংকিং’ মনে হয়। ভিসা অফিসারের কাছে এ রকম এখতিয়ার থাকা সমীচীন নয়। কারণ, ঘুষ গ্রহণকারীর সঙ্গেও আইনের শাসনের শর্তে আচরণ করতে হবে। এই প্রথম দেখলাম পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ভিসা নাকচ করা হয়েছে। মেরি রবিনসন (আয়ারল্যান্ডের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দীর্ঘকালীন হাইকমিশনার) মনে করেন মহাদুর্নীতির বিচার আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে হওয়া উচিত। আমার কাছে এই ধারণা খুব কঠোর মনে হয়।
প্রশ্ন: উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা উন্নত বিশ্বে স্থানান্তর ঘটে। আর সব রকম কালোটাকা জমানোর স্বর্গরাজ্যগুলো দক্ষিণে (উন্নয়নশীল বিশ্ব) নয়, উত্তরেই (উন্নত বিশ্বে) অবস্থিত। আপনি কি একমত হবেন যে পরোক্ষভাবে হলেও উত্তরের ধনী নেতারাই দক্ষিণের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ত্রাণকর্তা?
পিটার আইগিন : আপনার নীতি যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়, আপনার রাষ্ট্রপতি যদি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অর্থের অপচয় ঘটান, সব সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাঁর দেশের নাগরিকেরা বিদেশে অর্থ পাঠাবেনই। দেশ অনিরাপদ থাকলে, তাঁরা নিরাপদে বিদেশে বিনিয়োগ করবেন। তবে অস্ট্রেলিয়ায় জি-২০ বৈঠকের পর তাদের হুঁশ হয়েছে যে তাদের দেশ থেকেও অর্থ যাচ্ছে। তাই তারা নতুন বিধিবিধান প্রবর্তনে সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে। আমি আপনার সঙ্গে একমত যে দেশের বাইরে টাকা চলে যাওয়ার ফলে দরিদ্র মানুষেরা বড় রকম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
প্রশ্ন: প্রায় দেড় দশক পর বাংলাদেশে এলেন। আমাদের পরিবর্তন ও করণীয় সম্পর্কে আপনার মন্তব্য?
পিটার আইগিন : বহুদিক থেকে বাংলাদেশ বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আপনাদের দরকার চমৎকার শাসন। প্রশ্ন হলো সেটা রয়েছে কি না, কিংবা এখানকার ক্ষমতাধর শ্রেণিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত করে ধনী হয়েছে কি না? যদি ঘটে তাহলে সেটা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রচণ্ড প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
প্রশ্ন : আপনি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে যে ‘গিটি’ (গার্মেন্টস ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ) বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন তা কি সুফল দেবে বলে মনে করেন?
পিটার আইগিন : আমি বার্লিনে নয়, একটি ছোট শহরে বাস করি। সেখানেও দেখি পোশাকটা কীভাবে, কারা তৈরি করল ভোক্তারা তা জানতে চান না। আমি রানা প্লাজার দুর্ঘটনার কথা তাঁদের বলি। তা তাঁরা জানেন না। সস্তায় পোশাক পেলেই হলো। এটা চলতে পারে না। পোশাক বাজারের সব পক্ষকে নিয়ে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা গিটির লক্ষ্য।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend