বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই সরকারি গাছ কেটে বিক্রি

a13cc75f3c6b6d4f36da85872b530f98-4বরিশালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কার্যালয়ের ভেতরে থাকা চারটি বড় আকারের চাম্বলগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়নি। পরে নামমাত্র দামে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের সিঅ্যান্ডবি সড়কে সওজের প্রধান কার্যালয়ের প্রাচীরের মধ্যে থাকা গাছগুলো কাটা হচ্ছে। বেলা দেড়টার মধ্যে দুটি গাছ কেটে টুকরো করা হয়। এ সময় বাকি দুটির ডালপালা কাটা হচ্ছিল।
গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিক আবদুল জলিল জানান, গাছ চারটি কাটার জন্য মোর্শেদ আলম ওরফে ফোকারন নামের এক ব্যক্তি তাঁদের নিয়োগ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সওজের ঠিকাদার মোর্শেদ আলম সওজের লোকজনের যোগসাজশে নামমাত্র দামে ২৫-৩০ বছরের চারটি বিশাল আকারের চাম্বলগাছ কেটে নিয়েছেন। প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের এই গাছগুলো মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক জানান, বাজারে চারটি গাছের দাম কম করে হলেও এক লাখ ২০ হাজার টাকা হবে।
মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমি ওই গাছ কেনার সঙ্গে জড়িত নই। আমি শুধু শ্রমিক ঠিক করে দিয়েছি। তাই বলা হচ্ছে আমি গাছ কাটছি।’
বরিশাল সওজ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সওজের যেসব গাছ পরিণত হয়েছে কিংবা ভবন বা আশপাশের ক্ষতি করছে এমন গাছ কর্তৃপক্ষ দরপত্র বা নিলাম ডেকে নিজেরাই বিক্রি করতে পারে। এই গাছগুলোও আশপাশের ক্ষতি করতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সওজের প্রধান হিসাবরক্ষক মো. হান্নান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আহসান এন্টারপ্রাইজ ৩২ হাজার ৪০ টাকায় ওই গাছগুলো কিনেছে। সাধারণত বন বিভাগের গাছ কাটতে তাঁদের অনুমতি নিতে হয়। এগুলো সওজের গাছ হওয়ায় তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
তবে বন বিভাগ বরিশাল কার্যালয়ের প্রধান গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, সরকারি কোনো দপ্তরের প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলে নির্ধারিত ফরমে বন বিভাগকে জানাতে হবে। এর ভিত্তিতে বন বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছ কাটা এবং এর মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। এটা সরকারি বিধিমালায় বলা আছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend