পিতাকে পুত্র : তোমাকে ছাড়া বলার আর কে আছে? বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

৩ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথমেই শোকপ্রস্তাব। তুমি তো জানোই, রীতি অনুসারে চলতি সংসদের কেউ মারা গেলে তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। নারায়ণগঞ্জের খান সাহেবের নাতি এ কে এম শামসুজ্জোহার ছেলে নাসিম ওসমানের আকস্মিক মৃত্যুতে রীতি অনুযায়ী সেরকম একটা অসাধারণ আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশের নিয়ম, কাউকে কখনো ভালো বললে তার শেষ নেই, খারাপের েেত্রও কোনো বাছবিচার নেই। জাতীয় পার্টির সদস্য নাসিম ওসমান। বিনা ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে মারা গেছে। যত গুণের কথাই বলা হোক, এখন আর নারায়ণগঞ্জে তাকে বা তাদের অত গুণী হিসেবে কেউ বিবেচনা করে না। তবে মৃত ব্যক্তির জন্য প্রাণখুলে প্রশংসা করতে হয়, যেটা সেদিন হয়েছে। জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ কেউ বাদ থাকেনি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী শুধু প্রয়াত নাসিমকে স্মরণ করেননি, তার পরিবারের সব কর্মকাণ্ড সমর্থন করেছেন এবং কোমরে গামছা বেঁধে তাদের পাশে দাঁড়াবার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। এখানে আমি বা আমরা খুবই দুর্ভাগা। চলার পথের বাঁকে বাঁকে বারবার জীবন বাজি রেখে তোমার জন্য কত কিছু করেছি, সারা রাত একপায়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি। তখন এত গাড়িঘোড়া ছিল না। তাই হেঁটে, সাইকেলে চড়ে ১৫-২০ মাইল খাবার নিয়ে ছুটেছি। তারপরও আমি শত্র“, মতিয়া চৌধুরী, হাসানুল হক ইনুরা বন্ধু।
আঘাত পেতে পেতে এখন গা-সওয়া হয়ে গেছে। তাই খুব একটা লাগে না। তবে আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে এত দিন একজন বিবেকবান সাহসী মানুষ হিসেবেই জানতাম। কোথাও সত্য বলতে তিনি চুকেন না। কিন্তু ৩ জুন নাসিমের শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় তাকেও সাহসী মনে হয়নি। চান্দভূই ক্যাম্পে তাকে পায়ে হাত দিয়ে নাসিম সালাম করেছে Ñ এটা খুবই স্বাভাবিক। শুধু নাসিম কেন, আরো অনেকেই করেছে, এখনো করে। তবে তার বক্তৃতায় সত্য বেরিয়ে আসেনি। জাতি বিভ্রান্ত হয়েছে। কারণ প্রতিরোধ সংগ্রাম নাসিম গড়ে তোলেনি, তার তেমন নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বও ছিল না। সে একজন নিবেদিত প্রতিরোধ সংগ্রামী ছিল। সেরকম সংগ্রামী চট্টগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিনও ছিল। ছিল মৌলভী সৈয়দ। প্রতিরোধ সংগ্রামী যারা শহীদ হয়েছিল তাদের শোকপ্রস্তাব সংসদে গ্রহণ হয়নি। আমি ৭-৮ বার প্রস্তাবটি তোলার চেষ্টা করেছি। তা হলে সংসদে যে আলোচনা হয়েছে সেটা নাসিম ওসমানকে প্রতিরোধ সংগ্রামী হিসেবে নয়, আলোচনা হয়েছে সংসদ সদস্য হিসেবে। ’৭৫-এর প্রতিরোধ সংগ্রামে নাসিম ওসমানের চেয়ে মৌলভী সৈয়দের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শাহ আবদুল আজিজ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, রাজা দীপঙ্কর তালুকদার, মহারাজা সাইদুর, নারায়ণগঞ্জের মঞ্জু, নড়াইলের জিন্নাহ, সাভারের গিয়াস, মাহবুব, রংপুরের আলম, গাইবান্ধার সুজা, বগুড়ার বাকী, সৈয়দ নুরু, ফারুক আহমেদ, লুৎফর রহমান, সুকুমার তালুকদার, জিতেন ভৌমিক, সেলিম তালুকদার, খোরশেদ আলম আর.ও., প্রবোধ দিও, আজিম রেমা, নরবাট, এলবার্ট, দুর্গাপুরের আলী হোসেন, কমলাকান্দার আবুল কালাম আজাদ, সিলেটের চুনারুঘাটের জ্যোতিময়, মান্নান, তরুণ, নেত্রকোনার বিরাজমোহন বাচ্চু, হালুয়াঘাটের কবির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন Ñ এদের অবস্থান নাসিমের চেয়ে নিচে নয়, অনেক ওপরে ছিল। তাদের কথা তো আসেইনি, সর্বোপরি আমার নাম নিতেও ভাইজানেরা কুণ্ঠাবোধ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রিয় ভগ্নি না হয় প্রতিরোধ সংগ্রামে ছিলেন না, তাই তার সত্য বলায় অসুবিধা আছে। কিন্তু মাননীয় মন্ত্রীর তো তেমন অসুবিধা থাকার কথা না। তোমার জন্য কোনো প্রতিরোধ সংগ্রাম নাসিম ওসমান গড়ে তোলেনি, গড়ে তুলেছিলাম আমি এবং সেই সংগ্রামে মাননীয় মন্ত্রীও ছিলেন। নেতাদের মধ্যে অধ্যাপক আবু সাঈদ, তোমার বন্ধু শামসুদ্দিন মোল্লা, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন একসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার আবদুল মালেক তুরায় আমাদের ক্যাম্পে ছিলেন। কে ছিলেন না? কার পেটে আমাদের কষ্টের ভাত পড়েনি? তারপরও এমন বলা ভালো লাগে না। সিপিবি নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমও আমাদের ক্যাম্পে দু’ওয়াক্তের ভাত খেয়ে এসেছেন। আমাদের ঘামের ফসল যদি আমরা ঘরে তুলতে পারতাম, তাহলে ইতিহাস অন্যরকম হতো। বড়ভাই না হয় কুরআন পড়েন না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপামণি তো পড়েন। সত্য প্রকাশ না করলে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন, কোনো সত্যকে বিকৃত করার জন্যও আল্লাহর বিচারের হাত থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ নেই। তবে একটা ব্যাপারে যারপরনাই খুশি হয়েছি, আমাদের দেশে ভাসুরের নাম বউয়েরা নেয় না। তাই আমার নাম না নিলেও আমরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম সেটা জাতীয় সংসদে রেকর্ড হয়ে রইলÑ এ জন্য সংসদ অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারে।
তোমাকেই জানাতে হয়, তোমাকে ছাড়া এখন বলার মতো আর কেউ নেই। কাকেইবা বলব? কেন যেন সবাই স্বার্থান্ধ। আজ কিছু দিন বড় খুনাখুনি নিয়ে কথা চলছে। বিএনপি বলছে, জিয়ার খুনের সাথে তোমার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জড়িত। কেমন তাজ্জব ব্যাপার! একটা খুন তাও আবার প্রেসিডেন্টের খুন, যেটা করেছে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু লোক। সেখানে তোমার কন্যা জড়িত এটা ভাবা যায়? এখন না হয় তিনি চালাকচতুর হয়েছেন। তার কত চোখ সারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড দেখেন। কিন্তু তখন ছিলেন অতি সাধারণ এক মা, এক বোন, একজন মায়াময়ী নারী। তখন ওসব তিনি জানবেন বা করবেন কী করে? ১৭ মে দিল্লি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। যেদিন ফিরেছিলেন সেদিন ঝড় বৃষ্টিতে ঢাকা তছনছ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেও লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। তার কাঁদতে কাঁদতে দিন গেছে। আমার যেমন ১৬ ডিসেম্বর ’৯০-এ হয়েছিল। ১৮ থেকে ৩০ মাঝে ক’দিনইবা সময়? জিয়াউর রহমান যেদিন মারা যান সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায়ও ছিলেন না, চিটাগাংয়েও না। তিনি ছিলেন সিলেট। সিলেট থেকে ঢাকা ফেরার পথে ট্রেনে যখন জিয়া হত্যার খবর শোনেন, তখন ভৈরব অথবা আখাউড়া থেকে ভারতে চলে যেতে চেয়েছিলেন। সেদিন যেকোনো কারণেই হোক যাননি বা যেতে পারেননি। তাই আজ দেশের নেতা। কিন্তু সেদিন তার ষড়যন্ত্র করার তেমন কোনো অবলম্বন ছিল না। তিনি ছিলেন খুবই সাদাসিধে সহজ সরল একজন মানুষ। জনসভায় কথা বলতেন কম, কাঁদতেন বেশি। তাই তার নামে এ ধরনের অভিযোগ সত্যের অপলাপ, বড় বেশি গুনাহের কাজ।
অন্য দিকে আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়াও জিয়া হত্যার সাথে জড়িতÑ এটাইবা কী করে হয়? হ্যাঁ, এটা সত্য ২-১ জন স্ত্রী স্বামী হত্যা করে অন্যের ঘর করার লোভে। খালেদা জিয়ার ব্যাপার তো তেমন নয়। তিনি স্বামী হত্যার সাথে জড়িত থাকবেন কেন? আর তাকে যারা হত্যা করেছে তারা তো কখনো অমন বলেনি। তাহলে আইনস্টাইনের মতো এখন যারা নতুন সূত্র আবিষ্কার করছেন, তারা নিজেরা কি জিয়া হত্যার সাথে জড়িত? তাইবা হয় কী করে? তারা যে কাঁচা বয়সেরÑ তাতে কেউ কেউ মায়ের পেটে আবার কেউ কেউ নাবালক ছিলেন। তাহলে এখন এসব বলার মানে কী? মানে একটাই, খোয়াখুয়ি করে জাতীয় নেতাদের সম্মান নষ্ট, সেই সাথে দেশের সুনাম ুণœ করা। কেউ বুঝতে চায় না, চিত হয়ে থু থু ছুড়লে ফিরে এসে বুকেই পড়ে। এই থুথু ছোড়াছুড়িতে কারো কোনো তি ছাড়া লাভ নেই। তবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়, দুই দল বা গোষ্ঠী যতটা এগিয়েছে তারা কেউ অবধারিত ধ্বংসের আগে এক চুল পিছুবে না।
তোমাকে একটা ছোট্ট খবর দিই, নাসিম ওসমানের আকস্মিক মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ-৫ এ উপনির্বাচন হচ্ছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীক নিয়েছে শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার। আগে থেকেই জানি, মিডিয়াগুলো এখন আর তেমন নিরপে নেই। তারা আগে থেকেই প নিয়ে নেয়। সেভাবেই প্রচার প্রপাগান্ডা করে। সেলিম ওসমান আর ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী ছাড়া মিডিয়ার কাছে কোনো প্রার্থী নেই। যদিও নির্বাচনী আইন অনুসারে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কারো নাম বাদ দেয়া যায় না। নামে মাত্র হলেও উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু এ েেত্র সে নিয়মনীতি রা করা হয়নি বা হচ্ছে না। মনে হয় না দেশে আর কোনো দিন কোনো নিয়মনীতি বহাল হবে। এ যেন একেবারে মগের মুল্লুক।
আজ ক’দিন থেকে হবিগঞ্জের সাতছড়িতে র‌্যাবের অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে মারাত্মক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। অস্ত্রের ধরনধারণ এবং মজুদের পরিমাণ দেখে মনে হয় না এটা কোনো ছিঁচকে চোর বা সন্ত্রাসীর কাজ। অস্ত্রগুলো যে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এতে কোনো সন্দেহ নেই। শত শত হাজার হাজার বেসুমার অস্ত্র। মেশিন গান, মর্টার, রকেট লঞ্চার, আরো কত কী? কোনো কোনো পত্রিকায় দেখলাম কামান বিধ্বংসী রকেট। যুদ্ধের কত কিছু দেখেছি শুনেছি জেনেছি, কিন্তু কামান বিধ্বংসী রকেটের কথা শুনিনি। সাধারণত কামান, আরআর, মর্টার এসব পেছনে থাকে। এগুলোকে টার্গেট করে খুব একটা গোলাগুলি ছোড়া যায় না, ওপর থেকে বিমান আক্রমণ করতে হয়। ট্যাংক সামনে আসে, সাঁজোয়া গাড়ি আসে সেগুলোকে উড়িয়ে দেয়া যায়। কিন্তু কামান সেই মধ্যযুগীয় মোগল আমলেও যার পাল্লা ছিল ২-৩ মাইল। তাকে টার্গেট বা ল্য করা খুব একটা সহজ হয় না। এখন তো ১৫-২০ মাইলের নিচে তেমন কোনো কামান ব্যবহার হয় না। আর যেসব কামান ট্যাংক বহরকে ঠেকাতে বসানো হয় সেগুলো খুবই সুরতি করে বসানো হয়। তাই কামান ধ্বংসের জন্য রকেটের ব্যবহার হয় না। তবে এটাও সত্য আগরতলার গাঘেঁষে সীমান্তের ২-৩ কিলোমিটার ভিতরে প্রচুর অস্ত্র পাওয়া গেছে। সত্যিকার অর্থে এই বিপুল অস্ত্র যদি র‌্যাব আবিষ্কার বা উদ্ধার করত তাহলে দেশবাসী বুক উজাড় করে তাদের অভিনন্দন জানাত। কিন্তু দেশবাসী তো তেমনটা ভাবতে পারছে না। ভাবতে গেলেই কোথাও না কোথাও হোঁচট খাচ্ছে। পাহাড়ের টিলার নিচে পাকা বাংকার করে এত বিপুল অস্ত্র সে কি এক দিনে রাখা হয়েছে? তা তো নয়। শেরপুর সীমান্তেও কয়েক বছর আগে মাটির নিচে তিন কামরার ১২০০ স্কয়ার ফিটের বাড়ি পাওয়া গেছে। সেটা কি এখনকার ছোটখাটো সন্ত্রাসীরা করেছে? মোটেই না। এখন নতুন পণ্ডিতেরা অনেক পণ্ডিতি করেন। শেরপুরের সীমান্তের সে বাড়ি পাকিস্তান হানাদারেরা মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকাশ্যেই বানিয়েছিল, যাতে বিমান হামলার হাত থেকে বাঁচা যায়। স্বাধীনতার পর বাড়িটি ব্যবহার হয়নি, প্রবেশের পথ ছিল খুবই ছোট, তাই আস্তে আস্তে ঢাকা পড়ে গেছে। এখানেও তেমনি। এত বড় কাণ্ড কেউ কি চুপিসারে করেছে বা করতে পারে? প্রকাশ্যে কোনো সরকারি এজেন্সির মদদে বাংকার বানিয়েছে, অস্ত্র মজুদ করেছে। এখন উদ্ধার করে র‌্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। ৫০ বছর আগে হয়তো ওসব কেউ ধরত না। কিন্তু এখন জনগণ সচেতন হয়ে গেছে ওসব ধরতে সময় লাগে না। আমরা কেউ র‌্যাবের বিলুপ্তি চাই না। আমরা চাই র‌্যাব আইনের মাধ্যমে চলুক, কারো ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে নয়। না হয় অস্ত্রগুলো ওভাবে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যেত, এত নাটক না করে ওই পরিশ্রম করে দুটো প্রকৃত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করলে আমরা এর চেয়ে অনেক বেশি খুশি হতাম। কারণ নিজেদের সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা অস্ত্র সুবিধামতো সময় বের করে আর কত বাহবা পাওয়া যায়? অত না হয়ে ২-৪টা হলেও মনে করা যেত র‌্যাবের কৃতিত্ব। এত অস্ত্র উদ্ধারে র‌্যাবের কোনো কৃতিত্ব আছে বলে অন্তত আমার মনে হয় না। বিগত সরকারের আমলে ১০ ট্রাক ধরা পড়েছে, আরো ১০০ ট্রাক যে লুকানো নেই তাইবা কে বলবে? সেখান থেকে কিছু বের করে বাহবা নেয়া, এত তারই আলামত। কী চমৎকার সময় বেছে নেয়া হয়েছে! যখন র‌্যাবের বিশ্বস্ততা শূন্যের কোঠায় তখন এত বড় একটা সাফল্যের কথা বলে দেশবাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়ার কী এক অদ্ভুত চেষ্টা! নারায়ণগঞ্জে টাকা নিয়ে সাত খুনের সাথে র‌্যাবের সম্পৃক্ততা ঢেকে দিতেই যে এ অভিযান, এত অস্ত্র উদ্ধার এটা কানার ভাই অন্ধও সহজেই বলে দিতে পারে। এতে র‌্যাবের সুনাম বৃদ্ধি না হয়ে বরং আরো বেশি ক্ষুন্ন হয়েছে। পণ্ডিতেরা ভেবে দেখলে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend