পুলিশের বিরুদ্ধে চোখ বেঁধে পায়ে গুলি করার অভিযোগ

downloadযশোরের শার্শা উপজেলায় রফিকুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আজ শুক্রবার ভোরে চোখ বেঁধে পায়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে থাকা রফিকুল এই অভিযোগ করেছেন।

তবে পুলিশ বলেছে, রফিকুল সন্ত্রাসী। তাঁকে ধরতে অভিযান চালানোর সময় তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। অভিযানের সময় রফিকুলের সঙ্গে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলামকে গুরুতর অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি শার্শা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামে। গ্রেপ্তারকৃত অপর দুজন হলেন বারোপোতা গ্রামের আবদুস সাত্তার ( ৪৫) ও মো. নুরুজ্জামান (৪০)।
পুলিশের ভাষ্য মতে, শার্শা উপজেলার শিকড়ি শিবপুকুর এলাকার একটি মেহগনিবাগানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আত্মগোপন করেছে—এমন খবরের ভিত্তিতে টহল পুলিশের একটি দল অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে তিন-চারটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তাঁরা কয়েকটি গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। একটি গুলি রফিকুলের পায়ে বিদ্ধ হয়। সেখান থেকে সাত্তার ও তাঁর সহযোগী নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান (বন্দুক), একটি গুলি ও দুটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ রফিকুলের নামে শার্শা ও বেনাপোল থানায় খুন, ডাকাতিসহ ১০টি মামলা আছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার অপর দুজনের মধ্যে সাত্তারের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি ও নুরুজ্জামানের নামে মারামারির দুটি মামলা আছে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে ধরে বেনাপোল থানায় নিয়ে যায়। এরপর গভীর রাতে চোখ বেঁধে তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পায়ে গুলি করে। তাঁর কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পুলিশ অস্ত্র দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend