সোনার বিস্কুট খেয়ে বিপাকে

চোরাচালানের জন্য সোনার ১২টি বিস্কুট গিলে ফেলেছিলেন ভারতীয় এক ব্যবসায়ী। খাওয়ার পর বিমানবন্দরের gold barনিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে সফলভাবেই সিঙ্গাপুর থেকে ভারতে ফেরেন তিনি। এরপরই ঘটে বিপত্তি। নয়াদিল্লির চাঁদনি চকের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী ভেবেছিলেন, মলত্যাগের মাধ্যমে সোনার বিস্কুটগুলো পেট থেকে তিনি সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু কিছুতেই সেগুলো বের করতে পারেননি তিনি। ফলে একপর্যায়ে শুরু হয় তীব্র পেটব্যথা। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ৯ এপ্রিল চিকিত্সকের শরণাপন্ন হন ওই ব্যবসায়ী। চিকিত্সকদের তিনি জানান, রাগের মাথায় পানির বোতলের ছিপি গিলে ফেলেছেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মিথ্যে ধরা পড়ে যায়। চিকিত্সকেরা অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেটের ভেতর থেকে সোনার ১২টি বিস্কুট বের করেন। প্রতিটি বিস্কুটের ওজন ৩৩ গ্রাম। ১২টি বিস্কুটের মোট ওজন ৩৯৬ গ্রাম। এর বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ রুপি।
অস্ত্রোপচারকারী চিকিত্সকেরা জানান, ১০ দিন ধরে কিছুই খাননি ওই ব্যবসায়ী। তাঁর ধারণা ছিল, ‘সোনার বিস্কুটগুলো মলত্যাগের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। বিস্কুটগুলো তাঁর ক্ষুদ্রান্ত্রে আটকে যায়।’ চিকিত্সক ধাওয়াল শর্মা বলেন, ‘পেটে ব্যথা শুরু হলে ওই ব্যবসায়ী আমাদের কাছে অস্ত্রোপচারের জন্য আসেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনাবশত বোতলের ছিপি গিলে ফেলেছেন তিনি। দুই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারের পর তাঁর পেটে সোনার ১২টি বিস্কুট খুঁজে পাই আমরা। মনে হচ্ছিল, আমরা যেন সোনার খনি পেয়েছি। একের পর এক সোনার বিস্কুট বের হয়ে আসছিল।’ নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিত্সক সি এস রামাচন্দ্রন বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে আমি ওই ব্যবসায়ীর চিকিত্সা করে আসছি। চাঁদনি চকের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হিসেবেই তাঁকে চিনতাম। তাঁর দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। তাঁর মতো একজন লোক এমন কাজ করতে পারেন, এটা জেনে একই সঙ্গে আমি বিস্মিত ও মর্মাহত।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend