বর্ষসেরার লড়াইয়ে মেসি-রোনালদো-নেইমার

 

সোমবার তিন জনের এই সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবল।

বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি ও রোনালদোর থাকাটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত নয় বারের মধ্যে প্রতিবারই বর্ষসেরার সেরা তিনে থাকলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। আর পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনালদো এ নিয়ে সেরা আট বার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিলেন।

২৩ বছর বয়সী ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই পেলেন প্রথমবার। ২০০৭ সালে কাকার বর্ষসেরার পুরস্কার জেতার পর এই প্রথম কোনো ব্রাজিলিয়ান বর্ষসেরার সেরা তিনে থাকলেন।

গত মৌসুমে রিয়ালের হয়ে লা লিগায় ৪৮ গোল করেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডের গোল ১০টি। গোলের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও গত মৌসুমে কোনো শিরোপা জেতা হয়নি ৩০ বছর বয়সী পর্তুগিজ এই তারকার।

রিয়াল ও পর্তুগালের হয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ৪৮ গোল করেছেন তিনবার বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা রোনালদো।

বার্সেলোনার হয়ে গত মৌসুমে ট্রেবল জয় করেন মেসি ও নেইমার। লিগে ৪৩ গোল করা আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড মেসি ইউরোপ সেরার আসরেও রোনালদোর সমান ১০ গোল করেন।

দুই মাস চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকলেও চলতি বছর এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪৮ ম্যাচ খেলে ৪৪ গোল করেছেন টানা চার বার বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা মেসি। সঙ্গে এ বছর সতীর্থদের দিয়ে ২১টি গোল করান তিনি।

র্ষসেরা গোলের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও আছেন ২৮ বছর বয়সী মেসি। গত মে মাসে কোপা দেল রের ফাইনালে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে একক নৈপুণ্যে করা গোলটির কারণে বর্ষসেরার ডাবল জয়ের সুযোগও আছে আর্জেন্টিনার এই তারকার সামনে।

গত মৌসুমে লা লিগায় ২৩ গোল করা নেইমার বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ১০ গোল করেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।

ক্লাবের হয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলে ৪৮ ম্যাচ খেলে ৪১ গোল করেছেন নেইমার। সতীর্থদের দিয়ে ১২টি গোল করান। আর জাতীয় দলের হয়ে এ বছর সাত ম্যাচে ৪ গোল করেন তিনি।

আগামী ১১ জানুয়ারি জুরিখে ঘোষণা করা হবে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের নাম। গত সাতবারের মতো এবারও বর্ষসেরার মূল লড়াইটা মেসি আর রোনালদোর মধ্যে হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। সবশেষ সাত বারের বর্ষসেরার পুরস্কার এই দুজনই ভাগাভাগি করে নেন।

২০০৮ সালের পুরস্কার জেতার পর গত দুইবার রোনালদো এ পুরস্কার জয় করেন। আগের চার বার জিতেছিলেন মেসি।

ফুটবল বিষয়ক সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিত। ২০০৭ সাল থেকে পুরস্কারটি দেয়া হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।

২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একীভূত হয়ে এর নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। বিজয়ীরা নির্বাচিত হন ফিফার ২০৭টি সদস্য দেশের জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচ এবং ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবল সামায়িকীর বাছাই করা ক্রীড়া সাংবাদিকের ভোটে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend