ভারতের বিপক্ষে ভাল করার প্রত্যয় মুশফিকের

Musfiqএকদিন আগে টেস্ট ক্রিকেটে দশ বছর পূর্ণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। আর এর একদিন পরই বুধবার স্যামসাংয়ের পণ্যদূত হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন রাজধানীর একটি হোটেলে। আর সেখানে আসন্ন ভারত সিরিজসহ ব্যক্তিগত আরও নানান বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক।
ভারত শক্তিশালী দল পাঠিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই সিরিজটা কতটা কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জটা তো অবশ্যই অনেক বড়। এটা স্বাভাবিক। বিশ্বকাপে ভাল খেলার পর, সবার প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে সবাই চায় ভাল খেলতে। শেষ সিরিজটা অনেক ভাল গেছে আমাদের। হয়তো শেষ টেস্ট ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি। কিন্তু সবমিলিয়ে বলবো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটা ভালই গিয়েছে। ভারত খুব শক্তিশালী দল পাঠিয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা যদি ৩টি বিভাগে ভাল করতে পারি সেক্ষেত্রে এই সিরিজটা অনেক ভাল হবে।’
ইনজুরির অবস্থা কেমন। কিভাবে রিহ্যাব করছেন এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেছেন, ‘এখন আপাতত ব্যাটিং আর স্কিল বাদে রানিং করছি। শুক্রবার পর আমার ৭ দিন হয়ে যাবে। এরপর আশাকরি শনিবার থেকে ব্যাটিং করতে পারব। তবে কিপিংটা করতে আরও কয়েকদিন হয়তো লেগে যাবে। আশা করছি ১০ তারিখের মধ্যে হয়তো বা শতভাগ ফিট হতে পারব।’
৩টি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনটা কি ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘এটা আসলে আমার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। এটা পুরো দলের বিষয়। এখানে টিম ম্যানেজমেন্ট আছে, টিম ম্যানেজমেন্টের একটা পরিকল্পনা আছে। কোচ এখন নেই। তার সঙ্গে আলাপ করে আমি ঠিক করব, আমার পরিকল্পনা কি হবে।’
এই ইস্যুতে মুশফিক আরও যোগ করেছেন, ‘খারাপ হলে সবাই কথা বলবে, এটাই স্বাভাবিক। কেউ যদি শতভাগ আশা কররা পর সেটা না পায় সেক্ষেত্রে সমালোচনা হবেই। নইলে আগেও তো আমি তিনটিই করেছি। ভালও করেছি। তখন এসব কথা হয়নি। তবে আমার এটাও বুঝতে হবে যে, আমার বয়স বাড়ছে। আগের মতো ফিটনেস হয়তো আর নেই। আমি দেখব, যদি একটা ভূমিকাতে আমি টিমকে বেশী দিতে পারছি, সেটাই কেন নয়? আবার ৩ ভূমিকাতেও পারলে সেটা হতে পারে। সব নির্ভর করে টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর। তাদের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করব।’
পাকিস্তান সিরিজে পেস বোলার নিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে এটা নিয়ে চিন্তিত কিনা এ প্রশ্নে মুশফিক বলেছেন, ‘চিন্তা থাকাটা স্বাভাবিক। আমাদের এই হোম কন্ডিশনে এমনিতেই পেস বোলারদের কিছু করা কঠিন। শহীদ গত টেস্টে ভাল বল করেছে। রুবেল আশা করছি ফিট হয়ে যাবে। এ ছাড়া আবুল হাসান রাজু আছে। আমি বিশ্বাস করি, ভারতীয় পেসারদের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করার সামর্থ তাদের আছে।’
টেস্ট ক্রিকেটে দশ বছর কাটালেন এই মুহূর্তে কেমন অনুভূতি কাজ করছে এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘এখনও মনে হচ্ছে, দশ বছর আগেই আছি। সত্যি বলতে, আমি প্রতিটা ম্যাচ খেলার সময় প্রথম ম্যাচের মতো আনন্দ পাই। আবার প্রতিটা ম্যাচকেই শেষ ম্যাচ ভাবি। এরপর আর খেলার সুযোগ নাও পেতে পারি! এই সময়ে আমার পরিবার, বন্ধুরা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আশা করি, বাকী যে কয়টা বছর খেলতে পারব, সেখানেও তারা পাশে থাকবে। আর গত ২/৩ বছর ধরে যেমন ভালভাবে খেলছি, এটা যেন ধরে রাখতে পারি।’

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend