‘আ.লীগ বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে অপরাজনীতি করছে’

jamat-hefajotজামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে অপরাজনীতি করছে। স্বাধীনতার পর তারা ক্ষমতায় আসলেও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের শনাক্ত করতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিবার-পরিজনকে পুনর্বাসনও করা হয়নি।’
রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রবিবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলেক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে আমরা দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, ডাক্তার, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ আমাদের গর্বিত সন্তানদের হারিয়েছি। যড়যন্ত্রকারীরা জাতিকে মেধাশূন্য, নেতৃত্বহীন এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি শূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে আমাদের জাতিসত্ত্বার মর্মমূলে চরম আঘাত করেছিল। বিজয়োত্তর স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে জন্যই জতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের চার দশক অতিক্রান্ত হলেও আজও এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি রহস্যাবৃত্তই রয়ে গেছে। কিন্তু দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই রহস্য উন্মোচিত হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘মহান বিজয়ের এক মাস পর জহির রায়হান অপহৃত হলে এবং সে সময় ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগ বিষয়টি নিয়ে নির্লিপ্ত থেকেছে। আওয়ামী লীগ মুখে আইনের শাসনের কথা বললেও তাদের দ্বারাই বারবার আইনের শাসন লঙ্ঘিত হয়েছে।’
জামায়াতের অন্যতম এ নীতি নির্ধারক বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে সমান তালে। তারা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকার নিজেদেরকে গণমাধ্যম বান্ধব বলে প্রচার করলেও এ সরকারের আমলেই আমার দেশ, দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধংস করে দিয়েছে। তাই দেশ ও জাতিকে অপশাসন ও দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে হলে আওয়ামী অপশক্তি, ফ্যাসীবাদী, বাকশালী ও স্বৈরাচারী সরকারের পতনের কোনো বিকল্প নেই।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ফরিদ হোসাইন, ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন ও অধ্যাপক মোকাররাম হোসাইন খান, ঢাকা মহানগর মজলিশে শুরা সদস্য এ্যাডভোকেট জাকির হোসাইন ও পল্টন থানা সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend