কারাগারের ভেতরে কারখানায় ছাই হলো লক্ষাধিক কম্বল

কারখানার মালিক ও নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ক্ষতির পরিমাণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ লাখ ২১ হাজার ৪০০ এবং কারা কর্তৃপক্ষের জন্য ২০ হাজার কম্বল তৈরি করা হয়েছিল। এর বাইরে আরো কম্বল এবং কাঁচামাল রাখা ছিল। আগুনে সবই পুড়ে গেছে। যার মূল্য ২১ থেকে ২২ কোটি টাকা।

এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে আগুন লাগায় ওই কারখানা সংলগ্ন চারটি সেলের বন্দিদের নিরাপত্তার জন্য অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত কারখানাটিতে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এবং পরে আরও দুটি ইউনিট একযোগে কাজ করে। রাত ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

যুদ্ধাপরাধের মামলার ফাঁসির আসামি মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ওই কারাগারেই বন্দি। ওই কারখানা ও গুদামের ফুট দশেক দূরেই কয়েদী ও হাজতিদের এলাকার সীমানা প্রাচীর শুরু। আগুন লাগার খবর পেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোজাম্মেল খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (মহাপরিদর্শক) এ কে এম শহীদুল হক এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারাগারে কোনো প্রভাব পড়েনি। পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend