তিনি বলেন, ‘গত ১ নভেম্বর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে পুরো দেশই বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে পড়েছিল। অামরা এই বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। এখন অামরা ওই কমিটির কাছ থেকে কিছু প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। দেশের পশ্চিম বা পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড বা কোনও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এই বিপর্যয় ঘটেনি। গ্রিডে অাভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

তবে অাভ্যন্তরীণ সমস্যা বলতে নাসরুল হামিদ ঠিক কি বুঝিয়েছেন তা পরিষ্কার করে বলেননি। এ ব্যপারে সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলেও তিনি এড়িয়ে যান। তবে ভারত থেকে বিদ্যুৎ অাসা ভেড়ামারা এইচডিভিসি উপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণেও এই বিপর্যয় ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

অামার জানা মতে সেখানে দুটি সমস্যা হতে পারে। এক শর্ট সার্কিট বা যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে তা মানসম্পন্ন ছিল না। শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বাঁচানোর জন্যই তারা এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কারণ তদন্ত করাই হয়েছে পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) এর বিরুদ্ধে। অথচ এই তদন্ত কমিটিরই অন্যতম এক সদস্য হলেন পিজিসিবি এর মহাপরিচালক।

ভেড়ামারা উপকেন্দ্র নাকি অন্য কোনও বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রথমে বিকল হয়েছিল এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী এড়িয়ে যান।

মন্ত্রী জানান, ৩ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টার বা এনএলডিসি এবং ভেড়ামারা উপকেন্দ্র পরিদর্শণ করে তদন্ত কমিটি যে তথ্য পেয়েছে তারা এখন সেগুলোকে যাচাই বাছাই করে দেখছেন। ওই দিনই কেনও জাতীয় গ্রিডে এই বিপর্যয় ঘটলো তদন্ত কমিটি সেটিও খতিয়ে দেখছে বলে জানান মন্ত্রী।

সবশেষে মন্ত্রী এই তদন্ত কমিটির কাজের মেয়োদ অারো ১০ দিন বাড়ানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন। তবে অানুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।

এদিকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে মন্ত্রীর লুকোচরি নিয়ে কথা হয় সরকারি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোন বিদ্যুৎ থেকে প্রথম এই বিপর্যয়ের সূচনা হয় তা না প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। অামি নিশ্চিত এ ব্যপারে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

ভেড়ামার উপকেন্দ্রকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘অামার জানা মতে সেখানে দুটি সমস্যা হতে পারে। এক শর্ট সার্কিট বা যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে তা মানসম্পন্ন ছিল না। শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বাঁচানোর জন্যই তারা এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কারণ তদন্ত করাই হয়েছে পিজিসিবি (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) এর বিরুদ্ধে। অথচ এই তদন্ত কমিটিরই অন্যতম এক সদস্য হলেন পিজিসিবি এর মহাপরিচালক।এই তদন্ত প্রতিবেদন কখনও অালোর মুখ দেখবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অাব্দুল হাসিব চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অামরা বুঝতে পারছি যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরিতে খানিকটা সময় লাগবে। প্রযুক্তিগত তথ্য লেনদেন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রাথমিক তথ্য যাচাই করে তাদের এতটুকু বলার সামর্থ্য ছিল যে কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম সমস্যা হয়েছিল।

 

সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন