চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আ.লীগ নেতা লাঞ্ছিত : ছাত্রলীগের এক পক্ষের পাঁচ কর্মী বহিষ্কার

kb24.comআওয়ামী লীগের নেতা নাসির হায়দারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এটিকে প্রশাসনের লোকদেখানো সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন নাসির হায়দারের অনুসারীরা। তাঁরা তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বহিষ্কৃত ছাত্ররা হলেন রুবেল দে, শাহরিদ শুভ, আসিফুজ্জমান আসিফ, মেহরাজ হোসেন ও সোহেল খান। তাঁদের মধ্যে রুবেল ও শাহরিদকে ছয় এবং বাকি ছাত্রদের তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এই ছয়জনকে এর আগে একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদ।

নাসির হায়দারের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অমিত কুমার বসু প্রথমআলোকে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তে আমরা স্তম্ভিত। এটি লোকদেখানো। এ ধরনের হালকা সিদ্ধান্তের কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ভবিষ্যতে জঘন্য কর্মকাণ্ডের জন্য আরও উদ্বুদ্ধ করবে। আমরা ২৮ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিল। তাঁদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে শিক্ষাজীবন থেকে তিন বা ছয় মাস নষ্ট হয়ে যাওয়া কম নয়।’

গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের স্মরণসভায় যোগ দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের হাতে লাঞ্ছিত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক নাসির হায়দার। এর পর থেকে এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন তাঁর অনুসারীরা। সর্বশেষ একই দাবিতে চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধের ডাক দেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিলে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। ২৮ মে দুই সপ্তাহের সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend