২৫৯ কেজি চোরাই স্বর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে

Goldখবর বাংলা২৪ ডেক্সঃ বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে থেকে চোরাইপথে আসা স্বর্ণের ২৫৯ কেজি যোগ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। আন্তর্জাতিক বাজারদরে এ স্বর্ণ কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পক্ষান্তরে ব্যাংকের ভল্টে অস্থায়ী খাতে বর্তমানে আরো ২৭৩ কেজি সোনা জমা আছে। এর বাইরে আটক হওয়া অনেক স্বর্ণ ইতোমধ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। চোরাইপথে আনা অনেক সোনা আদালতের মধ্যস্থতায় শুল্কের বিনিময়ে মালিককে ফেরত দেয়া হয়েছে। গত শনিবার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে আটক হওয়া ১০৫ কেজি সোনা আগামী দু’একদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হবে বলেও জানা গেছে। প্রসঙ্গত সম্প্রতি স্বর্ণের চোরাচালান অনেক বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহআমানত বিমানবন্দরে কয়েকটি বড় চালান আটক হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার দুবাই থেকে আসা একটি বিমানের টয়লেট থেকে ১০৫ কেজি স্বর্ণ আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, আটক হওয়া স্বর্ণের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে জমা হওয়া ২৫৮ কেজি ৮৬৮ গ্রাম স্বর্ণের ২৪৫ কেজি ২৬৭ গ্রাম রয়েছে স্বর্ণ বার। আর স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ১৩ কেজি ৬০১ গ্রাম। এছাড়া ব্যাংকের ভল্টে অস্থায়ী খাতে থাকা ৭২৩ কেজি স্বর্ণের মধ্যে স্বর্ণবার রয়েছে ৫২৭ কেজি ৮৪৩ গ্রাম। আর স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ১৯৫ কেজি ২৪ গ্রাম।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম খান বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান ধরার পর দাবিদার না পাওয়া গেলে সরাসরি তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থায়ী খাতে জমা হয়। আর দাবিদার পাওয়া গেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থায়ী বা অস্থায়ী খাতে জমা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দাবিদার আদালতে মুচলেকা দিয়ে নির্ধারিত হারে শুল্ক পরিশোধ করে স্বর্ণের চালান ছাড়িয়ে নেন। আর যেসব ক্ষেত্রে দাবিদার পাওয়া যায় না বা আদালত থেকে দাবিদারের বিপক্ষে রায় যায় তা নিলামে তুলে বিক্রি করা হয়। তিনি জানান, গত শনিবার আটক হওয়া স্বর্ণ এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হয়নি। তবে দু একদিনের মধ্যেই এ বিষয়টি নিষ্পত্তি হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আটক হওয়া সব স্বর্ণই কিছু প্রক্রিয়া শেষে পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে। এর পর যদি ওই স্বর্ণের দাবিদার না থাকে তখন তা নিলামে তুলে বিক্রি করা হয়। আর দাবিদার থাকলে মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত নিলামের জন্য অপেক্ষা করা হয়। নিলাম কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রালয়, বাণিজ্যি মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের একজন করে প্রতিনিধি থাকেন। মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আটক র্স্বর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে অস্থায়ী খাতে জমা থাকে। নিলাম কমিটি বিক্রির টাকা নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। তবে এসব স্বর্ণের গ্রেড যদি আন্তর্জাতিক মানের হয় তখন অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাজার দরে তা কিনে নেয়। এক্ষেত্রেও বিক্রির টাকা জমা করা হয় সরকারি কোষাগারে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend