শ্রীবরদীতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
শ্রীবরদীতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে কয়েকজন আবেদনকারী। এনিয়ে বিভিন্ন মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহন করায় আবেদনকারীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ ও আবেদনকারী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে ফোন করে জানানো হয় যে, ১৩ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০ খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের লটারি অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি জানার পর আবেদনকারীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাদের দাবী কোন নোটিশ না দিয়ে, মাঠ পর্যায়ে না গিয়ে এবং আবেদন যাচাই বাছাই না করেই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে তড়িঘড়ি করে এ লটারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আবেদনকারী হায়দার আলী বলেন, যাচাই বাছাই না করে ১২ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে ফোন করে জানায় যে ১৩ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টা সময় ডিলার নিয়োগের লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের অনেক লোকজন গোপনে আবেদন করেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তাদের সুবিধা দিতে তাড়িঘড়ি করে এ লটারির আয়োজন করেছে। আহালু মিয়া বলেন, অনেক আওয়ামী লীগের লোকজন আবেদন করেছে। কিন্তু এগুলো যাচাই বাছাই না করে লটারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নুর হোসেন জানায়, কোন নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ রাতে ফোন করে বলতেছে যে, আগামীকাল লটারি। এখানে নামে-বেনামে আওয়ামীলীগের লোকজন আবেদন করেছে। তাদেরকে দেওয়ার জন্যই পরিকল্পনা করে এই লটারির আয়োাজন করা হয়েছে। মজিবর বলেন, মঙ্গলবার রাতে ফোন করে বলতেছে যে বুধবার সকালে লটারি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে আবেদনগুলো যাচাই বাছাই করা হয়নি। ঐ অফিসের লোকজন আওয়ামী আবেদনকারীদের সুবিধা করে দিতে তড়িঘড়ি করে লটারির আয়োজন করেছে।
এব্যাপারে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম দুলাল বলেন, অনেক আবেদনকারী রাতে আমার কাছে এসে বলতেছে যে, অফিস থেকে ফোন দিয়েছে আগামীকাল ডিলার নিয়োগের লটারি অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক দোসর গোপনে আবেদন করেছে। এগুলো যাচাই বাছাই না করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে লটারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত অন্যায়। সঠিক যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। না হলে আবারো সেই ফ্যাসিস্টের দোসররা সুবিধা ভোগ করবে।
এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সুচিত্রা রানীকে মঙ্গলবার রাত ১০.১৪ মিনিটের দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।