তাপস হত্যার নেপথ্যে ভিএক্স-সিএফসির পুরনো দ্বন্ধ
 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৪ ডিসেম্বর নিহত হয়েছেন তাপস সরকার নামের এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতির বলি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন এ শিক্ষার্থী। চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ, দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ, উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার নেতৃত্বাধীন ভিএক্স গ্রুপ ও সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু, যুগ্ম-সম্পাদক সুমন মামুনের নেতৃত্বাধীন সিএফসি গ্রুপের পুরনো দ্বন্ধের সূত্রেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৪ ডিসেম্বর নিহত হয়েছেন তাপস সরকার নামের এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতির বলি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন এ শিক্ষার্থী। চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ, দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ, উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার নেতৃত্বাধীন ভিএক্স গ্রুপ ও সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু, যুগ্ম-সম্পাদক সুমন মামুনের নেতৃত্বাধীন সিএফসি গ্রুপের পুরনো দ্বন্ধের সূত্রেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘ভিএক্স’ (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) ও ‘সিএফসি’ (চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার) এর মধ্যকার সংঘর্ষের সূত্রপাত ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ. বি. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী সমর্থিত এ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এদিন উভয়পক্ষের তিনজন আহত হয়েছিল। এর রেশ ধরেই পরদিন ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে সশস্ত্র ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
এরপর একই বছরের ১৩ মে সিএফসি নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইমরান হোসেন টিটু ও সিএফসি কর্মী শুভ বড়ুয়াকে লাঞ্ছিত করেছিল ভিএক্স কর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে ১৪ মে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ভিএক্স কর্মী বিপুল ও মেরাজ আহত হয়। এর জের ধরে ১৬ মে সিএফসি কর্মী আব্দুল জলিলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ঝুপড়ির (ছোট দোকান) সামনে ধাওয়া দেয় ভিএক্স কর্মীরা। এরপর সিএফসি ক্যাম্পাসে অধিপত্য হারায়।
এদিকে সিএফসি কর্মীরা ক্যাম্পাসে না থাকলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির হায়দার বাবুলকে গলায় জুতোর মালা পরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের প্রথম ভাগে আবার পুরনো শত্রুতা দেখা দেয় গ্রুপ দুটির মধ্যে। চলতি বছরের ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য আবু ইউসুফ এর মৃত্যুবার্ষিকিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর উপস্থিতিতেই নাসির হায়দার বাবুলকে জুতোর মালা পরিয়েছিল ভিএক্স কর্মীরা। আবার সেই দৃশ্যের ছবি তুলে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠায় ভিএক্স গ্রুপের কিছু কর্মী।
নাসির হায়দার বাবুল ছাত্রলীগের পরবর্তী কমিটিতে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের পদ পাইয়ে দিতে লবিং করছেন- এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে জুতোর মালা পরানো হয়েছিল বলে জানা যায়। এর জের ধরেই দুই গ্রুপের দ্বন্ধ আবার প্রকট আকার ধারণ করে। এ ঘটনার শাস্তির দাবিতে গত ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দেয় সিএফসি। অবরোধের সমর্থনে তারা ক্যাম্পাসে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। একই সময়ে অবরোধের প্রতিবাদে ও অবরোধকারীদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করেছিল ভিএক্স।
এর এক সপ্তাহ পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়েছিল অবরোধকারীরা। পরে ২৬ মে নাসির হায়দারকে জুতোর মালা পরানোর অপরাধে ভিএক্স গ্রুপের ৫ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
এরপর ২৬ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চবিতে এক আলোচনা সভায় বগিভিত্তিক রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করলে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতারা এ ‘সংস্কৃতি’ পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ভিএক্স ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
গত ৯ নভেম্বর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সিএফসির কর্মী মিঠুন চৌধুরী পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে মারধর করে ভিএক্স কর্মীরা। একইদিন রাতেই পাল্টা ভিএক্স কর্মী অনিককে মারধর করে সিএফসির কর্মীরা। এ ঘটনায় ওই দিনই ভিএক্স কর্মী শাহরিদ শুভ ও জোবায়ের হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হলেও আরও কঠোর শাস্তির দাবিতে সিএফসি কর্মীরা শাটলট্রেন অবরোধ করে। আর ভিএক্স কর্মীরা পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে ভিএক্স ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর আশ্বাসে সিএফসি কর্মীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
দুই গ্রুপের বিবাদমান অবস্থা উত্তরণের জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিল চবি প্রশাসন। আর ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করে। পাশাপাশি নগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নাছির উদ্দিনকে কোনো অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয় অচল থাকতে দেওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন।
এর প্রেক্ষিতে ১৬ নভেম্বর মহিউদ্দীন চৌধুরীর বাসায় উভয় পক্ষের নেতাদের সমাঝোতা হয়। যার ফলে সিএফসি দেড় বছর পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ১৭ নভেম্বর। পরে ২১ নভেম্বর শাহ আমানত হলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। এ নিয়ে ২১ নভেম্বর রাতে উভয়গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ২২ নভেম্বর রাতেই হলের সিট দখল নিয়ে মতবিরোধ হয় উভয়গ্রুপের।
এদিকে গত ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সকল গ্রুপ একত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও পরে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ভিএক্স কর্মীরা শাহজালাল হলে ও সিএফসি কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ভিএক্স নেতা ও ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার গুলিতে সিএফসি কর্মী তাপস সরকার গুরুতর আহত হন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এবারই প্রথম নিজ সংগঠনের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে কোনো ছাত্রলীগ কর্মী।
তাপস হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এর জন্য দোষারোপ করছে সিএফসি। তাদের অভিযোগ, ভিএক্স গ্রুপকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে চবি প্রশাসন। এমনকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহকেও আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সিএফসি। তবে অস্ত্র মামলার ৫টি মামলা দায়ের হলেও এখনও হত্যার অভিযোগে কোনো মামলা নেয়নি থানায়। এ ছাড়া তদন্ত কমিটি গঠন করলেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তড়িৎ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি চবি প্রশাসন। এদিকে সোমবার বেলা ২টা থেকে ৫টা পযন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায কেও অবরোধ করে রেখেছিল সিএফসি।
এসব বিষয়ে সিএফসি নেতা ও চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক সুমন মামুন দ্য রিপোর্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলার পর মহিউদ্দিন ভাইয়ের বাসায় বৈঠক হয়। তখন আমরা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত মানতে আমরা বাধ্য। তারপরও তারা কেন এবং কার ইন্ধনে এ রকম করছে তা আমরা বুঝতে পারছি না। আর প্রশাসন এতে মদদ দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা গ্রহণ না করার ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, সরকারের অর্ডার তাপসের আত্নীয়-স্বজনরা যেন এসে মামলা করে। কিন্তু মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি। পরিবার আসেনি, যারা রাজনীতি করে তারা আসছে ঘটনা বাড়াতে। কিন্তু আমি সরকারের আন্ডারের লোক, সরকার চাচ্ছে তার পরিবার মামলা করতে।
 এদিকে প্রক্টরের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে চবি প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমরা তো বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ে দাঁড়াতে পারি না, তবু ঘটনা থামাতে দাঁড়িয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক, ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এমনটা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রক্টরের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে চবি প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমরা তো বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ে দাঁড়াতে পারি না, তবু ঘটনা থামাতে দাঁড়িয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক, ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এমনটা করা হচ্ছে।
প্রক্টরের বিরুদ্ধে সিএফসি মামলা করতে চাচ্ছে জানালে তিনি বলেন, এটা হাস্যকর, ভিত্তিহীন, হতাশাজনক ও শিশুসুলভ।
নগর আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রণে বিভক্ত চবি ছাত্রলীগ
নগর আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রণাধীন চবি ছাত্রলীগ মূলত দুইভাগে বিভক্ত। এর একটি অংশ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী ও অপর অংশটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাসিরের নিয়ন্ত্রণে। দুটি অংশেরই একাধিক উপগ্রুপ রয়েছে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারি উপগ্রুপ গুলো হল- ভিএক্স, সিএফসি, ফাটাফাটি, খাইট্টা খা, সোলজার, এপিটাফ, অলওয়েজ, ককপিট। নাসির উদ্দিনের অনুসারি উপগ্রুপগুলো হল- সিক্সটি নাইন, একাকার, কনকর্ড, ইউরেকা, উল্কা। প্রতিটি গ্রুপই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছে নিজস্ব কর্মীবাহিনী। ফলে প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনায় এক এক বগির কর্মীদের সঙ্গে অপর বগির কর্মীদের চলে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া। দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে অসংখ্যবার।
তবে সিএফসি ও ভিএক্স- উভয় গ্রুপই মহিউদ্দীন চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
পাঁচ বছরে চবির সাত শিক্ষার্থী খুন
গত পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু এর কোনো ঘটনারই বিচার হয় নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়নি।
জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে সন্ত্রাসীদের হামলায় একাউন্টিং বিভাগের মহিউদ্দিন মাসুম নিহত হন ও ২৯ মার্চ ফতেয়াবাদ এলাকায় রেল লাইনের পাশে হারুনুর রশিদ নামের এক শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
একই বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে ক্যাম্পাসে নববর্ষের অনুষ্ঠান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন চত্বরে গ্রামবাসীর হামলায় নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান।
২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে প্রাণ হারান শিবির নেতা মাসুদ ও মুজাহিদ।
২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে প্রাণ হারায় শিবির নেতা মামুন।
সর্বশেষ ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে প্রাণ হারান ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার। এ ঘটনায় ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পূর্বাপর ঘটনার মতো এ ঘটনারও প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিমকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তবে পূর্বের কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই প্রথম।

 
			 
			 
			