ঝিনাইগাতী সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আবারও শুরু হয়েছে বন্য হাতির তান্ডব

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতাঃ

ঝিনাইগাতী সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আবারও শুরু হয়েছে বন্য হাতির তান্ডব

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আবারও শুরু হয়েছে বন্য হাতির তান্ডব। ফলে নিদ্রাহীন রাত কাটতে হচ্ছে কৃষকদের। এসব পাহাড়ি গ্রামগুলো হচ্ছে, তাওয়াকোচা,গুরুচরনদুধনই,পানবর,ছোটগজনী,বাকাকুড়া,বড়গজনী,গান্দিগাঁও, হাল চাটি,নওকুচি,রাংটিয়া গোমড়া,সন্ধ্যাকুড়াও গারোকুনা। স্হানীয় বাসিন্দারা জানান,১৯৯৬ সাল থেকে এসব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে শুরু হয় বন্য হাতির তান্ডব। বন্য হাতি দল দিনে পাহাড়ের গভীর অরন্যে আশ্রয় নিচ্ছে । আর সন্ধ্যা নেমে আসার সাথে সাথে খাদ্যের সন্ধানে বন্য হাতির দল নেমে আসছে লুকালয়ে। বন্য হাতীর দল কাঁচা ঘর-বাড়ি গাছপালা, বাঁশঝার, কলাও শাকসবজি বাগান, কৃষকদের গুলা ও ক্ষেতের কাচা পাকা ধান খেয়ে ও পায়ে পিষিয়ে দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে চলেছে। গত দুই যুগ ধরে বন্য হাতির তান্ডবে এসব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ঘর -বাড়ি গাছপালা, ক্ষেতের ফসল ও জানমালের ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপুর্যপুরি বন্যহাতির তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে পাহাড়ি গ্রামবাসিরা। বন্যহাতির কবল থেকে জানমাল ও ক্ষেতের ফসল রক্ষার্থে রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে কৃষকরা। ঢাকঢোল, ফটকা ফুটিয়ে মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্ত যতই হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ততই বন্যহাতির দল তেড়ে আসছে লুকালয়ে। তাওয়াকোচা গ্রামের ইউপি সদস্য হযরত আলী, নওকুচি গ্রামের গোলাপ হোসেন,আব্দুর রশিদ,হালচাটি গ্রামের সুরেন্দ্র কোচসহ স্হানীয়বাসিন্দারা জানায়, ক্ষেতের ধান পেকে উঠার সাথে সাথে বন্যহাতির তান্ডব বৃদ্ধি পায়। কাংশা ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক জানান, বর্তমানে তার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে প্রায় প্রতিরাতেই হানা দিচ্ছে বন্যহাতির দল।ক্ষেতের পাঁকা ধান খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে সাবার করে দিচ্ছে। ফলে এলাকার কৃষকদের চোখে এখন ঘুম নেই।বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend