স্ত্রীকে ধর্ষণ করে স্বামীর কাছে ভিডিও পাঠাল ধর্ষক

পাঁচ বছর আগে ফলের রসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ১৫ বছরের তরুণীকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল এক ধর্ষক।

জ্ঞান না থাকায় তরুণী জানতেও পারেননি, অভিযুক্ত ধর্ষণের সময় তার দুই সঙ্গীকে দিয়ে ঘটনা ভিডিওবন্দি করে রেখেছে। তারপর কেটে গিয়েছে অনেক সময়। অন্য শহরের মেয়েটির বিয়েও হয়ে যায়। কিন্তু ধর্ষক কোনওভাবে তার স্বামীর মোবাইল ফোন নম্বর জোগাড় করে সেই ভিডিও তার কাছে পাঠানোয় বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় নির্যাতিতার। এখন সেই ভিডিও-কেই হাতিয়ার করে ফের ব্ল্যাকমেইলের খেলায় মেতেছে অভিযুক্ত।

ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কোলার জেলার জাকির খান মহল্লায়। আরিফ নামে ওই অভিযুক্ত পাঁচ বছর আগের সেই ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে ফের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে বলে গত শনিবার রাতে অভিযোগ জানান তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার দুই সাগরেদ তৌসিফ এবং সাঈদ গা ঢাকা দিয়েছে।

২০১২ সালে ১৫ বছরের নাবালিকাকে ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পাড়ার কাছেই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে আরিফ। গোটা ঘটনা বাড়িতে জানান নাবালিকা। বাড়ির লোকেরা খোঁজ নিয়ে দেখেন ঘটনার সঙ্গে আরিফ জড়িত। তাদের মেয়ের থেকে দূরে থাকা পরামর্শ দিলেও তা কানে তোলেনি আরিফ। বাড়ি থেকে দূরে রাখতে মেয়ের বিয়ে দেয়া স্থির করেন অভিভাবকরা। এর পর হায়দ্রবাদে কর্মরত এক প্রকৌশলীর সঙ্গে বিয়েও হয়ে যায় মেয়েটির। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।

আরিফ কোনও ক্রমে মেয়েটির স্বামীর মোবাইল নম্বর জোগাড় করে তাকে জানায়, স্ত্রীর নগ্ন ছবি তার কাছে রয়েছে। প্রথমে সে সব উড়িয়ে দেন তিনি। পরে ধর্ষণের ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠায় আরিফ। এরপরই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন মেয়েটির স্বামী। বিচ্ছেদ হওয়ার পর একবারে মা-বাবার কাছে ফিরে আসতে হয় মেয়েটিকে।

সূত্র: এই সময়

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend