বঙ্গবভনে ঢুকতে দেওয়া হল না ইবরাহিম বীর প্রতীককে

ibraবঙ্গবভনে দাওয়াত দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীককে। তিনি নিজেই বুধবার সন্ধ্যায় এ অভিযোগ করেছেন।

প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস, মহান বিজয় দিবস ও দুই ঈদে মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক ও মন্ত্রীসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে সেখানে বিজয় দিবসের দিন আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমি ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর বঙ্গবভনে চারবার দাওয়া পাই। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও দুটি ঈদ মিলে চার দিন সেখানে দাওয়াত করা হয়। আমি একলা না, অন্য আরও অনেকেই পান। সেই রকমভাবে আজকের জন্যও দাওয়াত পেয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়ের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমটি হল- বীর প্রতীক, দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল, তৃতীয়টি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রধান। যেহেতু আমি আমাদের রাজনৈতিক দলের সরকারবিরোধী শিবিরের শরিক এটা পছন্দ নাও হতে পারে, ভাল কথা। কিন্ত ওই (২০ দলীয় জোট শরিক) বৈশিষ্ট্য আক্রমণ করতে গিয়ে অলঙ্গনীয়, অপরিবর্তনীয়, গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বৈশিষ্টকে (বীরপ্রতিক ও সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল) আক্রমণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধের বীর প্রতীককে বিব্রত করা হয়েছে।’

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দাওয়াত না দিলে আপত্তি ছিল না। কারণ রাষ্ট্রীয় অনেক ফাংসনে (অনুষ্ঠানে) দাওয়াত পাই না। সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীর লোকেরা ছাড়পত্র দেয় না অনেককেই। এটা নিয়ে হইচই করার কিছু নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়ে, প্রকাশ্যে বিব্রত করাটা অগ্রহণযোগ্য, দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘একটা ঘটনাটা ঘটেছে, আজকে (বুধবার) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে। যারা আমাকে গেইট (বঙ্গভবন) থেকে ফেরত পাঠিয়েছেন উনাো তো হুকুমের তামিলকারী। এসএসএফ-এর ক্যপ্টেন এবং ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হুকুমের তামিল করেছেন। আমাকে বলা চলে যেতে, আমি চলে এসেছি।’

‘ওখানে তো প্রতিবাদ করার জয়গা নয়। তাই আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে জাতির সামনে প্রকাশ করতে চাই,’ বলেন তিনি।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিতে গুনগত পরিবর্তন প্রয়োজন। আমরা এই পরিবর্তনটাই চাই। দেশে যথাযোগ্য ব্যক্তিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া চাই।’

‘সকলকে নিয়ে এগুতে হবে। আমাকে বঙ্গবভন থেকে বিতারিত করে বঙ্গভবনকে শ্রদ্ধা জানানো যাবে না’, যোগ করেন তিনি।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend