এবার গাজীপুরে ট্রাকে ধর্ষণের অভিযোগ

rapeএবার গাজীপুরে ট্রাকে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে এক নারী। তিনি বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে চিকিৎসক দেখিয়ে বাসায় ফেরার পথে নেশাযুক্ত কোমল পানীয় (ফানটা) খাইয়ে তাকে ওই ট্রাক চালক শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। তবে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে শারীরিক নির্যাতনের আলামত পেলেও ধর্ষণের কোনও আলামত পাননি বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ফানটা খেয়ে অসুস্থ স্বামীও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি জানান, ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় ডাক্তার দেখিয়ে শনিবার রাতে বাসায় ফিরতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু বাসে উঠতে না পেরে রাস্তার পাশেই দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক ট্রাক-চালক তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ সময় তারা দুজন ওই ট্রাকে উঠে চালকের পাশে বসেন। পরে গরমের মধ্যে ট্রাকের চালক আমাদের ফানটা এনে খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পরই তাদের ঘুম ঘুম (নেশা অবস্থা) ভাব দেখা দেয়। এ সময় চালকের কথামতো ওই নারীর স্বামী চালকের পেছনে ওপরের সিটে ঘুমিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ট্রাক থামিয়ে চালক গাড়িতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ওই নারী জানান, এর আগে চালক তাকে অস্ত্রের মুখে মারধর করে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে বেঁধে রেখেছিল। পরে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় তাদের নামিয়ে দেয়। এরপর রবিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে গাজীপুরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময়ও তাদের মধ্যে নেশার ভাব কাটেনি।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, তাদের মধ্যে রবিবার দুপুর পর্যন্ত নেশাভাব লক্ষ করা গেছে। তারা একেকবার একেক কথা বলেন। তাদের কথার মধ্যে অসংলগ্নতা দেখা গেছে। ওই নারী নিজে ধর্ষণের শিকার বলে দাবি করলেও প্রাথমিকভাবে তার আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তার গায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ জোবায়দা আক্তার লাকির সহায়তায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এর আগে ধর্ষণের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা বলেছেন, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ করেননি। নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ওই নারী ও তার স্বামী বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।এই দম্পতির সঙ্গে থাকা একটি পরিচয়পত্রে ঢাকার তিলপাপাড়ার ঠিকানা লেখা রয়েছে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা লেখা আছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বলে জানান তিনি।

যখন রাজধানীতে মাইক্রোবাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ নিয়ে বাংলাদেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ঠিক এমন সময় এ ধরনের আরেকটি অভিযোগ পাওয়া গেল।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend