বুদ্ধপূর্ণিমার তাৎপর্য ও বৌদ্ধধর্মের বিশ্বজনীনতা

BUDDHAসবুজ বড়ুয়া শুভ
একটা সম্প্রদায়ের আত্মপরিচয়ের বাহন একদিকে তার দর্শন ও ধর্ম, তেমনি অন্যদিকে তার ঐতিহ্য ও চলমান বর্তমান। বাংলাদেশী বৌদ্ধদের রয়েছে তেমনি গৌরবোজ্জ্বল ধর্ম, দর্শন ও ঐতিহ্য। বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন পঁচিশ শতাব্দীরও বেশি কাল ধরে মানবসমাজকে এক নতুন আলোর সন্ধান দিয়েছে। এই আলোর পথ ধরেই দেশে দেশে জন্ম নিয়েছে, নব নব কৃষ্টি সভ্যতার। কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, বর্ণবাদ, গোঁড়ামি ও সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে বৌদ্ধ ধর্ম এক ব্যাপক বিদ্রোহ। ঘন ঘোর তমসাচ্ছন্ন পরিবেশ, হিংসা-বিদ্বেষ হত্যা-জিঘাংসা, হানাহানি স্বার্থপরতা, বর্ণাশ্রম জাতিভেদ প্রথার উৎপীড়নে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, মহাকালের সেই ক্রান্তিলগ্নে ভারতবর্ষের ভাগ্যাকাশে উদিত হয়েছিল এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক, মহাকারুণিক গৌতম বুদ্ধ।
আজ শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা, বৌদ্ধ পরিভাষায় বুদ্ধপূর্ণিমা বলা হয়। খ্রীষ্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে তৎকালীন ভারতবর্ষে বর্তমান নেপালের কপিলবাস্তু রাজা শুদ্ধোধন ও রাণী মহামায়ার কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় এক রাজশিশু। নাম তাঁর সিদ্ধার্থ। রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্তি— এই তিনটি অনন্য ঘটনা শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে ঘটেছিল বলেই বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম বুদ্ধপূর্ণিমা। বৌদ্ধধর্ম মতে যে সব সম্যক সম্বুদ্ধ জগতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং ভবিষ্যতে আবির্ভূত হবেন, সবাই বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত হবেন। সেদিক থেকেও বৈশাখী পূর্ণিমা যুগে যুগে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য যে, বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ লাভের পর থেকে বুদ্ধবর্ষ গণনা শুরু হয়। গৌতম বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন আজ থেকে দুই হাজার ৫৫৮ বছর আগে। আজ থেকে নতুন বুদ্ধবর্ষ দুই হাজার ৫৫৯ বর্ষ শুরু হল। গৌতম বুদ্ধ ৮০ বছর বয়সে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। সেই হিসাবে তিনি আজ থেকে দুই হাজার ৬৩৮ বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। মূলত যিশুখ্রীষ্টের জন্মের ৬২৩ বছর আগে সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্ম হয়। ৩৫ বছরে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন। যিশুখ্রীষ্টের জন্মের ৫৮৮ বছর আগে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন। অর্থাৎ তিনি যিশুখ্রীষ্টের জন্মের ৪৪৩ বছর আগে মহাপরিনির্বাণ (মৃত্যু) লাভ করেন।BUDDHA1
মানবের মুক্তির সন্ধানে দীর্ঘপথ পরিক্রমায় গয়ায় বুদ্ধত্ব লাভের পর সারনাথে ধর্ম প্রবর্তন এবং তাঁর অমৃত বাণীর প্রচারণা ইতিহাসের এক স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়। ভগবান বুদ্ধের দীর্ঘ ৪৫ বৎসর ধর্ম প্রচার এবং তাঁর মহাপরিনির্বাণের পরেও বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার প্রসার অব্যাহত থাকে। খ্রীষ্টপূর্ব যষ্ঠ শতাব্দীর থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক উত্থান এবং তার প্রসার ছিল অন্যান্য ধর্মের কাছে ঈর্ষণীয়। বৌদ্ধ ধর্মের দার্শনিক চিন্তাধারা যুক্তিবাদের সৌধের ওপর গড়ে উঠেছে। একবিংশ শতাব্দীতে সংশয়াচ্ছন্ন মানুষের চিন্তা ক্ষেত্রে আধুনিক বিজ্ঞান এক নতুন বিপ্লব ঘটিয়েছে। সাধারণ মানুষ চিরাচরিত বিশ্বাস ও ধর্মীয় অনুশাসনকে অবলীলায় গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে। এই অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগেও বৌদ্ধ দর্শনের যুক্তিবাদী ধারার আবেদন কিন্তু চির অটুট রয়েছে।
ভগবান বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পর বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন সর্বব্যাপী বিস্তার লাভ করে। সম্রাট অশোক, সম্রাট কণিষ্ক, রাজা অজাতশত্রু, হর্ষবর্ধন এবং পালবংশীয় রাজদের পৃষ্ঠপোষকতা হারিয়ে পরবর্তীকালে বিভিন্ন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বৌদ্ধদের সামাজিক অবস্থা শৌর্য-বীর্যহীন হয়ে পড়ে। শৃঙ্গ বংশীয় মগধরাজ পুষ্যমিত্র (খ্রীষ্টপূর্ব দুই শতক) হুন নায়ক তোরমান (খ্রীষ্টীয় ৫০০) ও তার পুত্র মিহিরগুল (শৈব উপাসক) খ্রীষ্টীয় ৫১৫-৫৩০), ব্রাহ্মণ্য বর্ণবাদ কুমারীল ভট্ট (খ্রীষ্টীয় ৭০০-৮০০), শঙ্করাচার্য (খ্রীষ্টীয় ৭৮৮-৮২০), রাজা লক্ষণসেন (খ্রীষ্টীয় প্রায় (১১৭৮-১২০৫) মুহম্মদ-বিন-বখতিয়ার খিলজী (খ্রীষ্টীয় ১১৯৭-১২০৩) প্রমুখ বৌদ্ধ বিদ্বেষীদের চক্রান্ত ও আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ড, অত্যাচার, অনাচার এবং ধর্মান্তরিত করার উন্মত্ত উলঙ্গ প্রয়াস, বৌদ্ধ ভিক্ষু পণ্ডিত মনীষীদের এই উপমহাদেশ ত্যাগে বাধ্য করে। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে সমতল এলাকায় (বৃহত্তর চট্টগ্রাম কুমিল্লা ও নোয়াখালী) বৌদ্ধ ধর্মের সেই প্রদীপ্ত শিখা অম্লান থেকেছে।
সেই সময় বৌদ্ধ মনীষীদের দেশ ত্যাগের ফলে এ দেশে রচিত গ্রন্থের অস্তিত্ব নেপাল, তিব্বত ও চীন দেশে পাওয়া যায়। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপাল রাজ দরবার থেকে আবিষ্কৃত এ দেশের সিদ্ধাচার্যদের রচিত বাংলাভাষার আদি নিদর্শন বৌদ্ধ গান ও দোহা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই উপমহাদেশে বৌদ্ধ সংস্কৃতি এক সময় বিস্ময়কর সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। পাহাড়পুর সোমপুরী মহাবিহার, বাসু বিহার, বগুড়ার মহাস্থানগড় কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার, দিনাজপুরের জগদ্দল বিহার, আনন্দ বিহার, চট্টগ্রামের পণ্ডিত বিহার, নালন্দা তক্ষশিলা, অজন্তা, ইলোরা, গান্ধারা, প্রভৃতি আমাদের অতীত ইতিহাসের উজ্জ্বলতায় চিরভাস্বর।
এ দেশেই জন্ম নিয়েছিলেন বাংলার গৌরব অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান, প্রজ্ঞাভদ্র, শীলভদ্র, তিলোপা, হাড়িপা, কর্মযোগী কৃপাশরণ মহাস্থবির, বিশ্ববরেণ্য মহাসংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের, পণ্ডিত জ্যোতিঃপাল মহাথের প্রমুখ খ্যাত কীর্তি বৌদ্ধ মনীষা। যাদের কাছে এই দেশ, এই মাটি ঋণী। এখান থেকে বৌদ্ধ ধর্ম সাম্য মৈত্রীর ধারায় এক সময় বিস্তৃত এশিয়া ভূখণ্ড ছাড়িয়ে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
বৌদ্ধ ধর্মের যে স্বকীয় শক্তি রয়েছে, তা বিশ্বধর্মে রূপান্তরিত হয়ে সারাবিশ্বে পরিব্যপ্ত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ আজও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বৌদ্ধ ধর্ম যেহেতু কার্যকারণ নীতিতে বিশ্বাসী, কর্মবাদে প্রতিষ্ঠিত, আত্মশক্তিতে বলীয়ান বা আপন শক্তির ওপর নির্ভরশীল, অদৃশ্য কোনো শক্তির ওপর নির্ভরশীল বা বিশ্বাসী নয়, সেই জন্য বৌদ্ধ ধর্ম একবিংশ শতাব্দীতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং উৎকর্ষতার মাঝেও তার অস্থিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম। বৌদ্ধধর্মে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার স্থান নেই। মানুষই তার নিজের স্রষ্টা, তার আপন কর্মই তার সৃষ্টিকর্তা। তাই বৌদ্ধ ধর্ম তার কর্মকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সৎকর্মের জন্য সুফল, কুকর্মের জন্য কুফল, এখানে অপরাধ জনক কর্মের ক্ষমা করবার কেউ নেই। কর্ম মানুষের জীবনের সাথে ছায়ার মতো অনুসরণ করে। ধর্মে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার অনুপস্থিতিকে অনেকে বৌদ্ধদের শূন্যবাদ বা উচ্ছেদবাদ বলেন, কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে যুক্তিবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই ধর্মে জাতিভেদ প্রথা, অলৌকিকত্ব, অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে চরমভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।BUDDHA2
মহাকারুণিক বুদ্ধ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন, “এহি পাসসিকা” অর্থাৎ যুক্তি, তর্ক এবং বিবেকের সাথে সঠিক বিবেচনা করে দেখার জন্য। ভগবান বুদ্ধ শুধুমাত্র তত্ত্বকথা বা থিউরিতে বিশ্বাস করতেন না। সম্যক অভিজ্ঞতায় বিশ্বাস করতেন। বিনা প্রমাণে কোনো মতবাদকে মাথা পেতে নেওয়ার প্রচণ্ড বিরোধী ছিলেন তথাগত বুদ্ধ। এদিকে তার মনোবৃত্তি অত্যন্ত আধুনিক এবং সমকালীন নিঃসন্দেহে। বৌদ্ধ ধর্ম কোনো পূজা অর্চনা ও আনুষ্ঠানিকতা সর্বস্ব ধর্ম নয়, এটা জ্ঞানীর ধর্ম। মানুষের প্রয়োজনে জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে বুদ্ধ যুক্তিবাদের প্রয়োগ করে ছিলেন। শুষ্ক তর্ক, বৃথা বাক্য বিনিময়ে তার যে অনাগ্রহ এবং অভিজ্ঞতার প্রতি তার গভীর অনুরাগ বুদ্ধের বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তির পরিচায়ক।
মানুষের দুঃখ মোচনে তার যে গভীর সহানুভূতি সহমর্মিতা তার জন্যই বুদ্ধ ইতিহাসে উজ্জ্বল চিরভাস্বর হয়ে রয়েছেন।
বৌদ্ধ ধর্ম এমন এক জীবন চর্যা, যার মর্মমূলে রয়েছে বিদর্শন ভাবনা (Meditation) বৌদ্ধ ধর্মের মূলভিত্তি এই বিদর্শন ভাবনা। যা নিজেকে নিজে দর্শন করবার, জানবার সুযোগ এনে দেয়। বুদ্ধের দেশিত পঞ্চশীল নীতি গভীরভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে মানব জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা সক্ষম। জীবনকে সুশৃঙ্খল, সুন্দর করে গড়ার জন্য অষ্ট অঙ্গ সমন্বিত একটি পথ বা আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণের গুরুত্ব সমধিক, যার মাধ্যমে চরম সত্য নির্বাণ দর্শন সম্ভব। এখানে ঐশ্বরিক বা অন্যকোনো শক্তির ওপর নির্ভর করার অবকাশ কিংবা প্রয়োজন নেই। তাই তার সাহসী উচ্চারণ, “তুমি তোমার নিজের কর্তা, নিজের স্রষ্টা, তুমিই তোমার পরিত্রাতা”।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মানুষের জীবনে অন্যান্য ধর্মের তুলনায় বৌদ্ধ ধর্ম কতটুকু আবেদন রাখতে পারছে, তা উপরিউক্ত আলোচনায় অবশ্যই প্রণিধানযোগ্য। বিজ্ঞানের এই নবযাত্রার যুগে ক্লোন, টেস্টটিউব পদ্ধতিতে নতুন জীবন সৃষ্টি বর্তমানে ঈশ্বরবাদের ওপর চরম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। বর্তমান নতুন জীবন দর্শন ও সুস্থ, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে, সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় শুধুমাত্র বৌদ্ধ ধর্ম এগিয়ে আসতে পারে। যেহেতু বৌদ্ধ ধর্ম অলৌকিকতায় বা ঐশ্বরিক শক্তিতে বিশ্বাসী নয়, আপন কর্মফলের ওপর নির্ভরশীল, নিজেই নিজের নাথ। সূর্য দিবাভাগে উজ্জ্বল, চন্দ্র রাত্রিকে উজ্জ্বল করে কিন্তু বুদ্ধ তার স্বীয় জ্যোতিতে উজ্জ্বলতর। বুদ্ধের জ্যোতি এখনো মানুষকে আলোকিত করে, আলোড়িত করে।
বৌদ্ধ ধর্মের উদার মানসিকতার জন্য এই ধর্ম বিশ্বজনীন রূপ লাভ করেছে। মানুষে মানুষে হিংসা-হানাহানি, পরশ্রীকাতরতা, বিবাদ-বৈষম্য, ইতিহাস অজ্ঞতা, অপরিণামদর্শিতা, আত্মকলহ আমাদের অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। অতীতের গৌরব ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সচেতন হয়ে সুন্দর অনাগত ভবিষ্যত বিনির্মাণে আমাদের সকলকে বিভেদ-বৈষম্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশ ও সমাজকে একতাবদ্ধ এবং পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। তাহলেই একবিংশ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক চরম উৎকর্ষতার মধ্যে অলৌকিক ধর্মাশ্রয়ী বিশ্বাস বিধ্বংসী পরিবেশে বিজ্ঞানভিত্তিক মানবতাবাদী যুক্তিনির্ভর বৌদ্ধ ধর্ম ও তার আদর্শ টিকে থাকতে সক্ষম হয়ে সেই যুগনান্দনির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারঙ্গম হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। বৌদ্ধ ধর্মের উদার মানবতাবাদ, সৌহার্দ-সম্প্রীতি-সৌভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমে মৈত্রীর মেলবন্ধন রচনার পুণ্যময় দিন হোক শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। সকল কলুষ-কালিমা দূর হয়ে যাক, সবার হৃদয় আলোয় আলোয় ভরে উঠুক, আজকের এই শুভ দিনে এই হোক একমাত্র প্রত্যাশা।
লেখক : বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘ যুব (WFBY)-এর বাংলাদেশ আঞ্চলিক কেন্দ্র “নির্বাণা পিস ফাউন্ডেশন”-এর সভাপতি ও “নির্বাণা” অনলাইন পত্রিকা [www.nirvanapeace.com] এর সম্পাদক। সম্প্রতি তিনি থাইল্যান্ড থেকে The World Buddhist Outstanding Leader Award 2015 পদকে ভূষিত।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend