মানবতাবিরোধী মামলায় কক্সবাজারের দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার

Arrest_0মানবতাবিরোধী মামলায় কক্সবাজারের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের দুইজনকে আজ রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুপুরে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশের একটি দল শহরের হাসপাতাল রোডের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে রাজাকার সালামত উল্লাহ খানকে এবং একই সময় মহেশখালী থানার পুলিশ দ্বীপের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে রাজাকার মোহাম্মদ রশিদ বি,এ কে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মতিউর রহমান ও মহেশখালী থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে মানবতাবিরোধী আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। ১৯৭১ সালে মহেশখালী দ্বীপে হত্যা, ধর্ষণ ও জোর পূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার অন্যতম সদস্য সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, মহেশখালী দ্বীপের মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে দ্বীপের ১৭ জন স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর-রাজাকারের নৃশংসতার বিচার চেয়ে গত বছরের ১২ মে প্রধানমন্ত্রীর নিকট লিখিত এক অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটি যথারীতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (অভিযোগ নম্বর-৩৩/১২.০৫.২০১৪) প্রেরণ করে। ট্র্যাইব্যুনালের নির্দেশে এই অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদনও যথাসময়ে দাখিল করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তিনি আরো জানান, কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের ফকিরাঘোনার বাসিন্দা মৃত হামিদ বকসুর পুত্র সালামত উল্লাহ খান কনভেনসন মুসলিম লীগের মহেশখালী থানা শাখার সাবেক সভাপতি, শান্তি কমিটির থানা সভাপতি, কক্সবাজার জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সর্বশেষ বিবাদমান কক্সবাজার চেম্বারের এক গ্রুপের সভাপতি ছিলেন। অপরদিকে মহেশখালী পৌর এলাকার পুটিবিলার বাসিন্দা মৃত নসরত আলীর পুত্র মোহাম্মদ রশিদ বিএ কনভেনসন মুসলিম লীগ নেতা, শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির প্রতিষ্টাতা সহ সভাপতি, বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা উন্নয়ন সমন্বয়কারি (ডিডিসি) ছিলেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend