চার দিনে ২৬ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আতঙ্ক

download (1)শরীয়তপুরের গোসাইরহাট ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পাঁচটি গ্রামে ২৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পৃথক চার দিনে বাড়িগুলোতে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গ্রামগুলোর মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
গ্রামবাসী জানান, ১২ অক্টোবর গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের বড়কালিনগর গ্রামের পাঁচটি বাড়িতে এবং মাদারীপুরের কালকিনির দক্ষিণ বাঁশগাড়ী গ্রামের ১২টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে এসব বাড়ির রান্নাঘর ভস্মীভূত হয়। এরপর ১৫ অক্টোবর গোসাইরহাটের ছোটকালিনগর গ্রামের চারটি বাড়িতে, ১৬ অক্টোবর গজারিয়া গ্রামের তিনটি বাড়িতে এবং ১৭ অক্টোবর ঢাকেরহাটি গ্রামের দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। গোসাইরহাট ও কালকিনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কালকিনির দক্ষিণ বাঁশগাড়ী গ্রামের মহিমা আক্তার বলেন, ‘রাতের আঁধারে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমাদের রান্নাঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা জানি না। ঘটনার পর থেকে ভয়ের মধ্যে আছি। এক রাতে আমাদের গ্রামের ১২টি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
কালকিনির খাসেরহাট পুলিশফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোসাইরহাটের বড়কালিনগর গ্রামের লোকমান হোসেন বলেন, ‘১২ অক্টোবর রাতে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার রান্নাঘরটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য কোনো চক্র এ কাজটি করেছে। পুলিশকে জানানো হলেও এতগুলো বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কারণ তারা উদ্ঘাটন করতে পারেনি।’
গোসাইরহাটের নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত করিম ওরফে মিলু বলেন, চার দিনে পাশাপাশি পাঁচ গ্রামের ২৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা উদ্বেগজনক। কোনো মহল এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এমন কাজ করে থাকতে পারে।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পরপর এতগুলো বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। রাতে গ্রামগুলোতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend